ফাঁদে ফেলে ভারতীয় এক বিজ্ঞানীর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য নিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা- আইএসআই। ভারতের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে বুধবার প্রদীপ কুরুলকার নামের ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। খবর এনডিটিভির।
প্রদীপ কুরুলকার ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় (আরডিও) কর্মরত ছিলেন। কীভাবে তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের ফাঁদে পা দিলেন, তা নিয়ে তোলপাড় চলছে দিল্লিতে।
ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- ডিআরডিও। ক্ষেপণাস্ত্রের লঞ্চার, অত্যাধুনিক রোবট, মানববিহীন মোবাইল সিস্টেমসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের ওপর গবেষণা চালায় সংস্থাটি। এই সংস্থারই বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার; যার বিরুদ্ধে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য পাকিস্তানে পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
প্রদীপকে হানিট্রাপ অর্থাৎ সুন্দরী নারীর ফাঁদে ফেলে পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স অপারেটিং সংস্থা- পিআইও। আর এই ফাঁদে পা দিয়ে দেশের বিরুদ্ধেই গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করেন তিনি। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির এমন কাণ্ডে তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতজুড়ে।
এরইমধ্যে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদবিরোধী বাহিনী- এটিএসের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রদীপ কুরুলকার। সংস্থাটির দাবি, পুনেতে বসেই ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণাসংক্রান্ত গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের দিতেন তিনি। কীভাবে তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে এবং কী কী তথ্য পাচার করেছেন তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
ভিডিও চ্যাট এবং হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন অভিযুক্ত বিজ্ঞানী প্রদীপ। গেল ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি নজরে আসে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। এরপরই ডিআরডিও এবং এটিএস শুরু করে তদন্ত। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গ্রেফতার করা হয় এই বিজ্ঞানীকে। অবশ্য আগামী নভেম্বরেই কুরুলকারের চাকরি থেকে অবসর নেয়ার কথা ছিল।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, জেনেশুনেই নিজ দেশের নিরাপত্তা হুমকি উপেক্ষা করে স্পর্শকাতর তথ্য পাচার করেছেন কুরুলকার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়েরও করা হয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply