রাত পেরোলেই নির্বাচন তুরস্কে, আবারও ক্ষমতায় আসবেন এরদোগান!

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

রাত পার হলেই তুরস্কে শুরু হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। একদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে ছয় বিরোধী দলের সম্মিলিত প্রার্থী কিলিচ দারোগলু। শুরুতে সেক্যুলার নেতা দারুগলুর সাথে এরদোগানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিললেও শেষের দিকে জরিপে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্টই। এদিকে, নির্বাচনে এরদোগানকে রুশ প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলগুলোকে পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন দেয়া নিয়ে চলছে উত্তেজনা। খবর এপি’র।

আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই তুরস্কজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পাট চুকে গেলেও গণমাধ্যম আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও সরব দুই প্রার্থীই।

২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জন্য এবারের নির্বাচনকে বলা হচ্ছে অগ্নিপরীক্ষা। বিরোধী ৬ রাজনৈতিক দল একজোট হওয়ায় বেশ চাপের মুখে এরদোগান। তার মূল প্রতিদ্বন্ধী সেক্যুলার নেতা সিএইচপি’র কিলিচ দারোগলু। প্রার্থীতায় থাকলেও আলোচনায় নেই অপর মধ্যডানপন্হী নেতা সিনান ওগান। অর্থনৈতিক সঙ্কট, মূল্যস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের অভাবসহ নানা চাপে থাকা ও সাম্প্রতিক ভূমিকম্প বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বর্তমান প্রেসিডেন্টকে।

এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কিলিচ দারোগলু বলেন, তুর্কি জাতি মুক্তি চায়। এই দেশে গণতন্ত্র এবং মুক্তচিন্তার সঠিক ও সত্যিকারের পরিবেশ ধ্বংস করা ফেলা হয়েছে গত ২০ বছরে। ভোটের মাধ্যমেই জনগণ পরিবর্তন আনবেন।

যদিও এসব আলোচনা আর চাপকে উড়িয়ে দিয়ে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী এরদোগান। গত ২ দশকে বিশ্ব রাজনীতিতে তুরস্কের কৌশলী নীতি, কূটনৈতিক অবস্থান, সক্ষমতা বাড়ানোর পেছনের মুল কারিগর এরদোগান। এছাড়াও করোনাসহ নানা সঙ্কট সাদল্যের সাথে সামাল দিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছেন একে পার্টির এ নেতা।

এ প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুরস্কের অবস্থান এখন কোথায় রয়েছে সেটি দেখুন। প্রতিটি সঙ্কটে, সংঘাতে মধ্যস্ততা করছে তুরস্ক। বৈশ্বিক কূটনীতিতে বিশ্বস্ততা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছি আমরা। শুধু প্রতিরক্ষা খাতে আমাদের যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে তা পুরো অঞ্চলে আমাদের একক ও অনন্য স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। তাই আমার বিশ্বাস, তরুণরা ভোট দেয়ার সময় এসব বিষয় বিবেচনা করবেন।

উল্লেখ্য, তুরস্কের এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটারদের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। যার বড় অংশকেই এরদোগানের সমর্থক হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তবে মধ্যবয়সী ভোটাররা পরিবর্তন চান। অন্যদিকে, মোট ভোটারদের মধ্যে নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ। সাম্প্রতিক এক জরিপে এসেছে, নারী ভোটারদের বড় একটি অংশ ক্ষমতায় চান এরদোগানকেই।

এদিকে, তুরস্কের রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে চলছে উত্তেজনা। এরদোগান বিরোধী জোটের পক্ষে এরইমধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে পশ্চিমা শক্তি। অন্যদিকে, এরদোগানকে সমর্থন জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply