নেত্রকোণার সীমান্তে ক্রমেই বাড়ছে বন্যহাতির আক্রমণ

|

নেত্রকোণা সীমান্তে বেড়েছে ভারতীয় বন্য হাতির তাণ্ডব। খাবারের খোঁজে দল বেঁধে নেমে পাকা ধান নষ্ট করে বন্যহাতির দল। ভাঙচুর করে সীমান্তের ঘরবাড়িও। হাতি তাড়াতে গিয়ে ঘটছে একাধিক প্রাণনাশের ঘটনাও। বন্যপ্রাণির আক্রমণে সীমান্তজুড়ে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গত কয়েকদিন ধরেই নেত্রকোণা সীমান্তে বেড়েই চলেছে হাতি আতঙ্ক। স্থানীয়রা বলছেন, এখন পর্যন্ত একাধিক বাড়িঘর আর বিপুল ফসল নষ্ট করেছে এসব হাতির দল। তাদের তাড়াতে গিয়ে গত মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন এক কৃষক।

এদিকে, হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলার দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, হাতিরা দীর্ঘদিন ধরে একই পথ দিয়ে চলাচল করে। তবে সেই পথে লোকালয় তৈরি হওয়ায় ঘটে এসব বিপত্তি। তাদের চলার পথে কোনো বাধা সৃষ্টি না হলে হাতিরা ক্ষতি করে না। তবে প্রাণহানি হলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভুক্তভোগীর পরিবার ৩ লক্ষ টাকা, আহত হলে আড়াই লক্ষ আর ঘরবাড়ি বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে পাবে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

এছাড়া হাতি তাড়ানো কৌশল সম্পর্কেও স্থানীয়দের জানানো হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, অনেক সময় মশলা জাতীয় ফসলের গন্ধে গাতি বিরক্ত হয়, সে পথে আর আসে না। তাই আমরা সীমান্তবর্তী এলাকায় এ জাতীয় ফসল চাষের কথা বলেছি। তবে হাতি এসে পড়লে তার কাছে না গিয়ে ঢোল বা এই জাতীয় উচ্চ শব্দের মাধ্যমে তাদের বিতাড়িত করা আর রাতে মশাল জ্বালিয়ে রাখারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বন্যহাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি সহায়তার দাবি করছে স্থানীয়রা। তারা বলছেন, হাতির এ আক্রমণ থামানো না গেলে এই এলাকায় থাকাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply