যশোরে কপোতাক্ষ নদ খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ, অস্বীকার কর্তৃপক্ষের

|

যশোরে কপোতাক্ষ নদ খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর প্রস্থ অনুযায়ী খনন হচ্ছে না। তার উপর খনন করা মাটি ফেলা হচ্ছে নদী গর্ভে। এতে শীর্ণ খালে পরিণত হচ্ছে এই প্রবাহ। নদ খননের নামে বালু উত্তোলনের ব্যবসায় মেতেছে ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মচারী।

কপোতাক্ষ নদ রক্ষায় গতবছর একটি খনন প্রকল্প নেয় সরকার। এরই আওতায় যশোরের চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুর ব্রিজ থেকে মনিরামপুর উপজেলার খোরদো ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৭৯ কিলোমিটার খনন করা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে খননকাজ চলছে তাতে অসন্তুষ্ট নদীপাড়ের মানুষ।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

তাদের অভিযোগ, নদ খননের নাম বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদের দুই পাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তাদের। স্থানীয় মেম্বারদের হাত করেই চলছে এই কর্মকাণ্ড এমন অভিযোগ নদীপাড়ের মানুষের।

অবশ্য এসব অভিযোগ তোয়াক্কা করছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের দাবি, নিয়ম মেনেই চলছে খনন কাজ। এ নিয়ে জানতি চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম. মমিনুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, বাকি অর্ধেক কাজ প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই হয়ে যাবে। তবে অনিয়মের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাননি দাবি করে তিনি বলেন,
স্থানীয়দের এমন কোনো অভিযোগ আমি এখনও পাইনি। পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৭৯ কিলোমিটার কপোতাক্ষ নদ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার কথা রয়েছে। তবে এ প্রকল্প নিয়ে চরম অসন্তোষ ও শঙ্কা স্থানীয়দের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply