ভেন্যু বিতর্কের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মিরে শুরু জি-টুয়েন্টির পর্যটন ফোরামের সম্মেলন

|

ভেন্যু বিতর্কের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মিরে শুরু হলো জি-টুয়েন্টি’র পর্যটন বিষয়ক ফোরামের সম্মেলন। দিল্লিতে মূল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বরে। তবে তার আগেই জম্মু-কাশ্মিরে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক জোট জি টুয়েন্টির পর্যটন ফোরামের সম্মেলন। মোদি প্রশাসনের লক্ষ্য, আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে কাশ্মিরকে আরও পরিচিত করা। এই সম্মেলন চলবে তিনদিন। তবে সীমানা নিয়ে বিতর্ক থাকায় কাশ্মিরে এ আয়োজনের বিরোধিতা করছে অনেক দেশ। সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ তিন সদস্য চীন, সৌদি আরব ও তুরস্ক। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

২০১৯ সালে কাশ্মিরের বিশেষ রাজ্যমর্যাদা বাতিলের পর অঞ্চলটিতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক আয়োজন এই প্রথম। ফলে আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই মোদি প্রশাসনের। বিজেপি সরকারের লক্ষ্য, কাশ্মিরের পর্যটন খাতকে আরও চাঙ্গা করে তোলা। পাশাপাশি অঞ্চলটিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ এবং স্থিতিশীলতার বিষয়টিও তুলে ধরতে চায় সরকার।

এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গত কয়েক বছরের পররাষ্ট্র নীতির ফসল এই সম্মেলন। কাশ্মির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। বিশ্বের সামনে সেই শান্ত এবং স্থিতিশীল কাশ্মিরকেই তুলে ধরতে চাই।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

পর্যটন ফোরামের সম্মেলন হলেও জম্মু-কাশ্মিরে আয়োজন ঘিরে উত্তপ্ত আঞ্চলিক রাজনীতি। সীমানা নিয়ে বিতর্ক থাকায় রাজ্যটিতে আয়োজনের বিরোধিতা করেছে চীন। অংশ নেবে না আরও দুই সদস্য তুরস্ক এবং সৌদি আরব। প্রতিবেশী পাকিস্তানের অভিযোগ, কাশ্মিরে সম্মেলনের আয়োজন করে জাতিসংঘের নীতি লঙ্ঘন করেছে দিল্লি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, ভারত যতো চেষ্টাই করুক, সম্মেলন আয়োজন করে কাশ্মিরীদের কণ্ঠ রোধ করতে পারবে না। একটি বিশেষ অঞ্চলে সম্মেলন আয়োজন করে জাতিসংঘের নীতির লঙ্ঘন করেছে দিল্লি।

সম্মেলন ঘিরে জম্মু-কাশ্মিরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। ডাল লেকসহ ঐতিহাসিক এবং জনপ্রিয় স্থানগুলোয় মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি কমান্ডো, সিআরপিএফ এবং পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যদের। এ সম্মেলনের বিরোধিতায় ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে রাজ্যের কয়েকটি দল ও সংগঠন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply