বাজারে নেই চাহিদা, বিপাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দেশীয় বাদ্যযন্ত্র নির্মাতারা (ভিডিও)

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে ওঠায়, তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে কদর কমছে লোকজ বাদ্যযন্ত্রের। অথচ একটা সময় হারমোনিয়াম, বেহালা, ঢোল-তবলা ছাড়া গান-বাজনা চিন্তাই করা যেতো না। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। আয়-রোজগার না থাকায় বসে-বসেই সময় কাটছে কারিগরদের। অনেকে বাধ্য হয়ে ছেড়েছেন পেশা।

ভাটি অঞ্চলের সংস্কৃতি রাজধানী হিসেবে খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া। লোকজ সংস্কৃতির প্রতিটি আয়োজনে একসময় ব্যবহার হতো এসব বাদ্যযন্ত্র।

গ্রামবাংলার লোকজ জ্ঞান ও সৃজনশীলতায় বহুকাল ধরেই হারমোনিয়াম, ঢোল-তবলা, বেহালাসহ নানা লোকজ বাদ্যযন্ত্র তৈরি করতেন কারিগররা। যা ব্যবহার হতো গ্রামগঞ্জের পালাগান, যাত্রাপালা, পুতুল নাচসহ বাউল গানের আসরে। কালের পরিক্রমায় আধুনিক প্রযুক্তির দাপটে ঐতিহ্যবাহী নান্দনিক এসব যন্ত্র অনেকটাই হারিয়ে যাবার উপক্রম।

দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের চাহিদা দিন দিন কমায়, বিপাকে এ পেশার সাথে জড়িত কারিগররাও। কাজের চাপ না থাকায় অনেকেই অলস সময় পার করছেন। কেউ কেউ পেটের তাগিদে ছেড়েছেন বাপ-দাদার পেশা।

বাদ্যযন্ত্রের কারিগররা বলছেন, এখন সবকিছুই অত্যাধুনিক হয়ে গেছে। আমাদের এসব বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর কেউ এসব বাজাতে চায় না। ব্যবসা না থাকায় আমরা খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।

এসব বাদ্যযন্ত্রের বিলুপ্তি ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক এক কর্মকর্তা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উসমান গনি সজিব এ প্রসঙ্গে বলেন, আকাশ সংস্কৃতি ও পশ্চিমা অনেক নতুন নতুন বাদ্যযন্ত্র এসে আমাদের এসব সংস্কৃতিকে গ্রাস করেছে। আমাদের আত্মপরিচয়কে ধরে রাখার জন্য হলেও এসব দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের বাজার আবারও দিরিয়ে আনতে হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র তৈরির সাথে জড়িত আছেন অর্ধশতাধিক কারিগর।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply