ইউক্রেনীয় রাজধানীর ওপর রাশিয়ার আক্রোশ থামছেই না। সোমবারও (২৯ মে) ভোররাতে চালানো হয় ড্রোন ও মিসাইল হামলা। চলতি মাসে ১৫ দফা কিয়েভের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লো রুশবহর। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির অভিযোগ, কিয়েভকে দুর্বল করতেই একের পর এক আগ্রাসন চলছে। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্টের হুমকি, ফ্রন্টলাইনে হামলা চালাতে এলে সীমান্তরক্ষীরা দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। খবর আল জাজিরার।
রুশ হামলায় এরই মধ্যে রাজধানী কিয়েভ আর নিপ্রো শহরের লোকালয়গুলো পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। টানা দুই রাতের অভিযানে ছোঁড়া হয়েছে শতাধিক ড্রোন এবং অগুণিত মিসাইল।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার কিয়েভ। একই সময় ৫৪টি ড্রোন ছুঁড়েছে আমাদের রাজধানীতে। যার সবগুলোই ইরানের নির্মিত শহিদ ড্রোন। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এর ৩৬টি ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু বাকিগুলোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লোকালয়-বাসভবন। কিয়েভ বারবারই দখলদারদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছি আমরা।
এদিকে, হুমকি দিতে ছাড়ছে না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। তার স্পষ্ট বক্তব্য, ফ্রন্টলাইনের পাশাপাশি তার দেশের অন্য সীমান্তেও নাক গলালে মিলবে দাঁতভাঙা জবাব।
পুতিন বলেন, নব্য নাৎসিবাদ নির্মূলে পরিচালিত সামরিক অভিযানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন রুশ সীমান্তরক্ষীরা। নিঃস্বার্থভাবে তারা রক্ষা করছেন সীমান্ত; শক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে ঠেকাচ্ছেন নাশকতা। রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তারা সদা তৎপর। তাছাড়া, গণভোটে অর্ন্তভুক্ত ৪টি অঞ্চলে সরবরাহ করছে জরুরি খাদ্য-মানবিক সহায়তা।
ইউক্রেনের অভিযোগ, ১৫ মাসের যুদ্ধে ১৬ হাজার ২২৬ জন শিশুকে অপহরণ করেছে রাশিয়া। নিজ মতাদর্শে শিক্ষা দেয়ার জন্যেই এমনটি করছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ জেলেনস্কি প্রশাসনের। তাদের মধ্যে, ৩০০ জনকে ফেরানো গেছে পরিবারের কাছে।
এসজেড/
Leave a reply