ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে পশ্চিমাদের দেয়া অস্ত্রকে টার্গেট করছে রুশ সেনারা। মিসাইল আর ড্রোনের আঘাতে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে লেপার্ড টু, ব্র্যাডলি, হ-ইটজারের মতো আলোচিত অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র। পশ্চিমা সমরাস্ত্রে নিখুঁত হামলা চালাতে সফল সেনাদের রীতিমতো পুরস্কারও দিচ্ছে পুতিন প্রশাসন। ফলে মস্কোর সামরিক সক্ষমতার সামনে এসব অস্ত্র যুদ্ধের মোড় কতখানি ঘুরাতে পারবে কিনা তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সূত্র: রয়টার্স, এপি, সিসিটিভি।
ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে জার্মান প্রযুক্তির লেপার্ড ট্যাংক এবং মার্কিন সাঁজোয়া যান- ব্র্যাডলি ধ্বংস করা সেনাদের রোববার (১১ জুন) ঘটা করেই সম্মাননা দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ভূষিত করছে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ‘হিরো অব রাশিয়া গোল্ড স্টারে’।
পশ্চিমা অস্ত্র ধ্বংসে সাফল্যের ভিডিওফুটেজও প্রকাশ করেছে মস্কো। ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ট্যাংকের বহর গুঁড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে রুশ বাহিনী।
পশ্চিমা মিত্রদের দেয়া বিপুল সামরিক সহায়তা নিয়ে গত সপ্তাহেই আটঘাট বেঁধে রণক্ষেত্রে নেমেছে ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি ছিলো, অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র, সাঁজোয়া যানে পটপরিবর্তন হবে যুদ্ধের। অগ্রযাত্রা থামবে রুশ বাহিনীর। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের মনোবল গুড়িয়ে দিতে পরিকল্পিতভাবেই পশ্চিমা এসব অস্ত্রকে লক্ষ্য বানাচ্ছে রাশিয়া। যুদ্ধের মোড় ঘুরানোর বদলে পশ্চিমাদের এসব অস্ত্রভাণ্ডার নিজেই হুমকির মুখে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে মিত্র দেশগুলো। অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
এটিএম/
Leave a reply