প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোসহ বিভিন্ন মামলায় একদিন পরই আদালতে হাজির হতে হবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এ ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে ট্রাম্পের সমর্থকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, অত্যন্ত স্পর্শকাতর এসব অভিযোগের যদি অর্ধেকও প্রমাণিত হয়, তাহলেই শেষ হয়ে যাবে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। খবর সিএনএন এর।
এখনও ফ্লোরিডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। বিভিন্ন অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যখন মামলা চলছে, তখন রাজপথ কাঁপাচ্ছেন তারা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এসব মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তাদের দাবি, ট্রাম্প একজন সফল প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার প্রতি পুরোপুরি অবিচার করা হচ্ছে।
এদিকে, মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন এই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর নথি সরানোসহ ৩৭টি অভিযোগে মামলা চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এমন সময়ে তাকে অভিযুক্ত করা হলো, যখন আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের হয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌঁড়ে সবচেয়ে এগিয়ে তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে এখানেই তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি হবে।
এ নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। তিনি বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলোর খুবই তথ্যবহুল এবং মারাত্মক। এগুলোতে কোনো ফাঁকফোকর নেই। যদি এসব অভিযোগের অর্ধেকও তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়ে যায়, তাহলেই ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।
যদিও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড়িয়ে দিচ্ছেন এসব অভিযোগ। তার দাবি বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এসজেড/
Leave a reply