রাশিয়াকে কঠোর বার্তা দিতে এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে সামরিক জোট ন্যাটো। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যেই এবার জার্মানিতে শুরু হয়েছে এই মহড়া। প্রায় ২ সপ্তাহব্যাপী এই যুদ্ধ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে আড়াইশ’র বেশি সামরিক বিমান। সামরিক জোটটির ২৫টি সদস্য দেশের ১০ হাজারের বেশি সেনা সদস্যও অংশ নিচ্ছেন এই মহড়ায়। খবর আল জাজিরার।
ন্যাটোর এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে কয়েকশ’ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, গোয়েন্দা বিমানের মতো সমরাস্ত্র। যুদ্ধ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন ১০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য। যুক্তরাষ্ট্র পাঠিয়েছে শতাধিক যুদ্ধবিমান। জার্মানিকে কেন্দ্র করে চলমান এই মহড়ার মুল উদ্দেশ্য জোটভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা।
এ নিয়ে জার্মানির প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিশনার ইভা হোগেল বলেন, এই মহড়ার মাধ্যমে আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে রাশিয়াকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। আমরা প্রস্তুত আছি যেকোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে। নিজের দেশ এবং সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি মিত্রদের রক্ষায়ও আমরা বদ্ধ পরিকর।
কঠোর বার্তা দিয়ে দেশটির বিমানবাহিনী প্রধান ইঙ্গো গেরহার্টজ বলেন, মিত্রদের সাথে নিয়ে আমাদের সক্ষমতা কতুটুকু তা যাচাই করাই এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য। এখানে নির্দিষ্ট কোনো দেশের সক্ষমতাকে তুলে ধরা হচ্ছে না। সামরিক জোট হিসেবে ন্যাটোর কার্যাকারিতাই প্রকাশ করা হচ্ছে। আর সেই দায়িত্ব পালন করছে জার্মানি।
এদিকে, রণক্ষেত্রে প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেনও। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টলাইনে আরও অগ্রসর হওয়ার দাবি করেছে কিয়েভ। পাল্টা অভিযানে জাপোরিঝিয়ায় ৭টি এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবিও করেছে জেলেনস্কি প্রশাসন। ইউক্রেন জানায়, বাখমুতেও নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তাদের সেনারা। পুনরুদ্ধারকৃত অঞ্চলগুলোয় ওড়ানো হয় দেশটির জাতীয় পতাকা।
এসজেড/
Leave a reply