আরও একটি অঞ্চল পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের

|

পাল্টা অভিযানে আবারও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যের দাবি করছে ইউক্রেন। জাপোরিঝিয়ার পশ্চিমের একটি গ্রাম পুনরুদ্ধারের কথা জানিয়েছে কিয়েভ। এরই মধ্যে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় আরও কয়েকটি এলাকায় অগ্রসর হওয়ার দাবিও করেছে দলটি। দখলকৃত সব এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তবে অঞ্চল হাতছাড়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি রাশিয়া। বরং তিনটি ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেনের বড় ধরনের হামলা প্রতিহতের দাবি করছে ক্রেমলিন। খবর আল জাজিরার।

দখলকৃত এলাকা উদ্ধারে পাল্টা অভিযানের ঘোষণার পর, দ্বিতীয়বারের মতো বড় জয়ের দাবি করছে ইউক্রেন। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জাপোরিঝিয়ার পিয়াতিখাৎকি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কথা জানায় কিয়েভ। পূর্বাঞ্চলে লড়াইয়ের অন্যতম কেন্দ্র আভদিভকায়ও রুশ বাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে বলে দাবি ইউক্রেনীয় বাহিনীর।

রাত্রিকালীন নিয়মিত ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি জানান, দক্ষিণে তাভরিয়া ফ্রন্টে চলছে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। ওডেসায় রাশিয়ার একটি অস্ত্র ঘাঁটিতে হামলার দাবিও করে কিয়েভ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ৪৩টি বিমান হামলা, চারটি মিসাইল ও ৫১টি রকেট ছুঁড়েছে রাশিয়া। তবে ঠেকানো হয়েছে বেশিরভাগ। হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ নিয়ে জেলেনস্কি বলেন, আভদিভকায় শত্রুপক্ষের সাথে তীব্র লড়াই চলছে। দখল করা সব এলাকা হারাতে হবে তাদের। পুনরুদ্ধার না করে ছাড়বো না। আমাদের সেনারা পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া যতই আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাদের ধ্বংসের খবর বলুক, তারা সক্রিয় রয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। রুশ বাহিনীর মিসাইল ধ্বংস করে চলেছে।

ইউক্রেন যখন পাল্টা অভিযান জোরদার করছে, তখন প্রতিরক্ষার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দোনেৎস্ক ও আশপাশে বাখমুত, আভদিভকা, মারিনকা, লিম্যানে ২৬টি স্থানে হয়েছে সংঘাত। তিনটি ফ্রন্টলাইনে বড় হামলা ঠেকানোর দাবি করেছে ক্রেমলিন। তবে নিয়মিত বিবৃতিতে দখলকৃত এলাকা হাতছাড়ার বিষয়ে মুখ খোলেনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকোভ বলেন, ২৪ ঘণ্টায় জাপোরিঝিয়া, দোনেৎস্ক ও এর দক্ষিণে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। জোরালো হামলা চালিয়েছে। শত্রুপক্ষের তিনটি ব্যাটালিয়ন ট্যাংক, সাজোয়া যান নিয়ে অগ্রসরের চেষ্টা করে নোভোপোক্রোভকা, নোভোদালিনিভকা ও মালা তোকমাচকায়। বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণও করা হয়। তবে এ সব হামলাই ঠেকানো হয়েছে।

এদিকে চুক্তি শেষ হওয়ায় রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা দল ওয়াগনার এর ৩২ হাজার সেনা বাড়ি ফিরে গেছে বলে জানান গ্রুপটির প্রধান। তিনি বলেন, ফ্রন্টলাইনে নিয়োগকৃত দলটির ৫০ হাজার সেনার মধ্যে ১০ হাজারের মৃত্যু হয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply