বেতন বাকি থাকায় ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম

|

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এম এম ওসমান মডেল স্কুলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে আহত করেছেন শিক্ষকরা। সোমবার (১৯ জুন) সকালে বেতন বাকি থাকার দায়ে এসব শিক্ষার্থীদের স্কুল বন্ধ করে বাঁশের লাঠি ও বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে স্কুল বন্ধ করে পালিয়ে যান শিক্ষকরা। আহত উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকগণ উপজেলা পরিষদের সামনে মিছিল করেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ দেন।

জানা যায়, নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের কয়েক মাসের বেতন বাকি রয়েছে। বেতনের টাকা আজ পরিশোধ না করায় স্কুল বন্ধ করে প্রধান শিক্ষক ওসমান ও ইউনুস ছাত্রদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে আহত করেন। পরে শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসের সামনে মিছিল করে অভিযোগ দায়ের করেন।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদের নিকট থেকে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া স্কুলটির সরকারি কোনো অনুমোদন নেই।

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন আমাদেরকে দেখায়। ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয় এম এম উসমান মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক উসমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার এসআই মনির জানান, এম এম উসমান মডেল স্কুলের বিষয়টি শুনেছি। ছাত্র-ছাত্রীরা মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়ে গেছে।তাৎক্ষণিক ওসি সাহেব স্কুলে গিয়েছিলেন। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা জানান, ভাঙ্গা থানার পাশে অবস্থিত এম এম ওসমান মডেল স্কুলটি দীর্ঘদিন যাবত পাঠদানের অন্তরালে কোচিং বাণিজ্য করে আসছে। অথচ সরকারিভাবে পাঠদানের কোনো অনুমতি নেই প্রতিষ্ঠানটির। ভাঙ্গায় অবস্থিত বিভিন্ন স্কুলের সাথে আঁতাত করে ওই স্কুলের রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে দুই থেকে তিন শত শিক্ষার্থীকে নিয়মিত কোচিংয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পাঠদান করাতো। ছাত্রদের পাস করানোর প্রলোভন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি মাসে হাতিয়া নিতো লাখ লাখ টাকা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply