‘শক্তি বাঁচাতে যতটা সম্ভব কম নিঃশ্বাস নিতে হবে আরোহীদের’

|

ছবি: সংগৃহীত

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনের আরোহীদের যতটা সম্ভব কম নিঃশ্বাস নিতে হবে। সেই সাথে ঠান্ডা মাথায় বিশ্রামও নেয়া প্রয়োজন। এমনটি বলেছেন নিখোঁজ টাইটান সাবমেরিনের আরোহী ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারগোলেটের বন্ধু এবং বিখ্যাত ডাইভার জো ম্যাকইনিস। সিএনএনের সাথে আলাপচারিতায় তিনি পল হেনরি সম্পর্কে বলেন, সংকটকালীন মুহূর্তে সে একজন অসাধারণ নেতা। তার উপস্থিতি আমাকে নৈরাশ্যবাদী হতে দিচ্ছে না।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার জন্য গভীর সমুদ্রে একটি অভিযানের ব্যাপারে গবেষক দলের পরিচালক পল হেনরি নারগোলেট। জো ম্যাকইনিস পেশাগতভাবে চিকিৎসক হলেও নিজে গভীর সমুদ্রের একজন দক্ষ ডাইভার। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের অনুসন্ধানে তিনিও দুইটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। পল হেনরি সম্পর্কে জো বলেন, অনেক ধরনের ঝামেলাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এর আগেও পড়েছে পল। সে সব কিছুই সমাধা করেছে। এ ধরনের সংকটকালীন মুহূর্তে আপনি যেমন মানুষকে আপনার পাশে চাইবেন, পল সেই ব্যক্তি।

পল হেনরি নারগোলেট। ছবি: সংগৃহীত

একটি আইম্যাক্স মুভির জন্য টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের চিত্র ধারণের কাজে ১৯৯১ সালে একটি অভিযানে ছিলেন ম্যাকইনিস। সিএনএনকে তিনি বলেন, আরোহীরা এখন স্বাভাবিকভাবেই তাদের শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে চাইবে। সেখানে মানসিক শক্তির সাথে শারীরিক শক্তিও গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, জায়গাটি ঠান্ডা এবং অন্ধকার। তারা শক্তি সংরক্ষণ করবেই। বিশ্রাম, যতটা সম্ভব কম নিঃশ্বাস নেয়া এবং নিজেদের শান্ত রাখা- এগুলোই এখন সবচেয়ে জরুরি।

ম্যাকইনিস যোগ করেন, গভীর সমুদ্রে এ ধরনের অভিযানে সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ প্রধানত তিনটি- আগুন, হুল ফেইলর (পানির চাপে জলযান ফেটে ভেতর পানি ঢুকে যাওয়া), এবং শরীরে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পেঁচিয়ে যাওয়া। এগুলো এমন জিনিস যা গভীর সমুদ্রে যাওয়া সমস্ত লোকেরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবে। বিষাদ থেকে শুরু করে আশা, ভয়, অনিশ্চয়তা- আমরা সবাই আটকা পড়েছি আবেগের এমন সব ঘূর্ণিতে। তবে মঙ্গলবার (২০ জুন) ধাক্কাধাক্কির কিছু শব্দ শনাক্ত করা গেছে। এখনও তাই আশা ছাড়ছি না।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply