ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে উড়িয়ে দিলেও ওয়ানডের আগে সতর্ক বাংলাদেশ। কারণ সাদা পোষাকের চেয়ে রঙিন পোষাকে আফগানরা বিপজ্জনক বেশি। যদিও আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে পরিসংখ্যান টাইগারদের পক্ষে কথা বলছে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১১ দেখায় ৭ জয় বাংলাদেশের, ৪ জয় আফগানিস্তানের। আফগানদের ৩ জয় বাংলাদেশের মাটিতে, ১টি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ঘরের মাঠে ৪ জয়সহ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ৩টি জয় রয়েছে টাইগারদের।
ওয়ানডেতে এর আগে মাত্র দুইটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে দু’দল। প্রথমবার ২০১৬ সালে। ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের ওই সিরিজে আফগানদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বার ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। চট্টগ্রামে ৩ ম্যাচের এই সিরিজটাও ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের বাইরে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের যে ৫টি ম্যাচ খেলেছে দু’দল এর প্রত্যেকটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দু’দলের মুখোমুখিতে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ ৩০৬। যা গত সিরিজেই সাগরিকায় করেছিল বাংলাদেশ। আফগানদের সেরা ২৫৮, মিরপুরে। আবুধাবিতে সর্বনিম্ন ১১৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, মিরপুরে আফগানদের দলীয় সর্বনিম্ন ১৩৮।
রানের ব্যবধানে দুই দলেরই একে অন্যের বিপক্ষে রয়েছে বড় জয়। তবে এখানেও এগিয়ে বাংলাদেশ। এর আগে দুইটি ওয়ানডে ম্যাচে মার্জিনাল লাইনে যেয়েও জয় পেয়েছিল দু’দল।
দু’দলের ব্যাটারদের মধ্যে রানের দিক থেকে সবেচেয়ে এগিয়ে টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আফগানদের বিপক্ষে ৮ ম্যাচে ৩০৪ রান রয়েছে এই বাঁহাতি ওপেনারের। আফগানদের সর্বোচ্চ হাশমতউল্লাহ শাহিদির, ৯ ম্যাচে ২৬১।
আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন লিটন দাস। গত বছর চট্টগ্রামে ১৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। একই সিরিজে গুরবাজেরও রয়েছে ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। ওয়ানডেতে দু’দলের মধ্যে সেরা পার্টনারশিপ লিটন-মুশফিকুর রহিমের ২০২ রানের; আফগানদের ১৬৪।
বল হাতে সেরা বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান, ১০ ম্যাচে আছে ২৩ উইকেট। ইনিংস সেরা ২৯ রানে ৫ উইকেট। অন্যদিকে, আফগানদের হয়ে ৯ ম্যাচে মোহাম্মদ নবির রয়েছে ১৫ উইকেট।
দুই দলের মধ্যকার ১১ ম্যাচের ৮টিতেই জিতেছে আগে ব্যাট করা দল। তবে চট্টগ্রামে সবশেষ তিন ম্যাচ সিরিজে দুইটি জয় ছিল রান তাড়া করে।
/আরআইএম/এমএন
Leave a reply