১১ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির সেই জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে

|

গতকালের ছবি।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরিত জাহাজ সাগর নন্দিনী ২ থেকে পেট্রোল খালাসের সময় দ্বিতীয়বারের মতো বিস্ফোরণের ঘটনায় লাগা আগুন প্রায় ১১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য দগ্ধ হয়েছে। নদীতে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪ জন।

সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে ফের আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তাদের সহযোগিতা করে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ। এর আগে, গত শনিবারও (১ জুলাই) জাহাজটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন লাগে।

ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাতেই ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। বিস্ফোরণে দগ্ধ পুলিশের দুই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। আহত অন্যরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে থাকা তেল অপসারণকারী জাহাজ সাগর নন্দিনী ৪ আগুনে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটিকে পরে অন্যত্র সরিয়ে নিতে সক্ষম হয় কর্তৃপক্ষ।

ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরি বলেন, একটি জাহাজের বিভিন্ন কম্পার্টমেন্ট থাকে, তেল সংরক্ষণ করার জন্য। সেখানে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে। সেই গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। কিন্তু আমরা যে পরিমাণে ফোম দিয়েছি তাতে এ মুহূর্তে জাহাজটি বিস্ফোরণের আওতামুক্ত বলতে পারি।

কোস্টর্গাডের অপারেশন অফিসার মো. শাফয়েত বলেন, অয়েল পলিয়েশন গিয়ার যেটি আছে, সেটি আমরা ব্যাবহার করেছি যাতে তেল কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে। আমরা এটি রিকভার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রায় বিশ হাজার লিটার তেল উঠাতে সক্ষম হয়েছি নদী থেকে।

বরিশাল বিভাগ নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন, সাত লক্ষ লিটার ডিজেল অন্য একটি ভ্যাসেলে অপসারণ করা হয় কিন্তু পেট্রোল যখন অপসারণ করতে গেলো, তখন আবার ভ্যাসেলটি বিস্ফোরিত হয়। যার ফলে নৌ পুলিশের তিনজন, পুলিশের ছয়জন এবং সিভিল স্টাফসহ ১০ জন আহত হয়। তবে ১০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত, বাকিরা শঙ্কামুক্ত আছে।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply