যুদ্ধে রুশ-ইউক্রেনের ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার পরিস্থিতি করছে জটিল

|

ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ আরও বিধ্বংসী হওয়ার শঙ্কা জোরালো হচ্ছে। দু’দেশই এরইমধ্যে এই অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে বেসামরিক স্থাপনায় ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ তুলছে কিয়েভ-মস্কো। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে উভয়পক্ষ। বিধ্বংসী বোমা ব্যবহারের ফলে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। খবর রয়টার্সের।

প্রায় দেড় বছর ধরে চলমান যুদ্ধে এবার নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা। দুই দেশেই একে অপরের বিরুদ্ধে এই বিধ্বংসী বোমা ব্যবহার নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে।

মূলত, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করার পরই আলোচনায় বিতর্কিত এই যুদ্ধাস্ত্র। মার্কিনীদের কাছ থেকে পাওয়ার পরই এই বোমা ব্যবহার শুরু করেছে কিয়েভ। যদিও জেলেনস্কি প্রশাসনের দাবি, শুধুমাত্র রুশ সৈন্য ও স্থাপনাই লক্ষ্য তাদের। এদিকে, তাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক এমনকি রুশ ভূখণ্ডেও ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে মস্কো।

এ ব্যাপারে রুশ কর্মকর্তা ভাদিম অ্যাস্টাফিয়েভ ইউক্রেনের সৈন্যবাহিনীর ছোড়া ক্লাস্টার বোমার আঘাতে চার সাংবাদিক আহত হয়। দ্রুততম সময়ে, আহতদের রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফিল্ড মেডিক্যাল ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরআইএ-নভোস্তি সংবাদ সংস্থার এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে ইউক্রেনের ডিমাইনিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান ইগোর ওভচারুক বললেন, খারকিভে উরাগান মিসাইল সিস্টেমের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। শহরের তিনটি স্থানে এ হামলা চালায় রুশ বাহিনী। সৌভাগ্যবশত সবকয়টি বোমা বিস্ফোরিত হয়নি।

ব্যাপক ভয়াবহতার কারণে বিশ্বের শতাধিক দেশে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা। তবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেন এ তিন দেশে কেউই এই বোমা নিষিদ্ধের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সই করেনি।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply