আবারও বন্যার থাবা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। টানা ভারি বৃষ্টি-ভূমিধসে ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে দেশ দু’টি। গত তিনদিনের বন্যায় আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের, আহত ৭৪। এখনও নিখোঁজ আছেন ৪১ জন। আর, বন্যা-ভূমিধসে পাকিস্তানে প্রাণ গেছে ১৩ জনের। বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক বাড়িঘর। খবর আল জাজিরার।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, টানা বৃষ্টি,-বজ্রপাতে নাকাল দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। গত ৪৮ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রাণ গেছে নয় জনের, ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে পাহাড়ী চিত্রাল জেলায়।
প্রকৃতির নির্মমতার শিকার তাদের প্রতিবেশি আফগানিস্তানও। বন্যার তোড়ে বিপর্যস্ত কাবুল, ময়দান ওয়ারদাক ও গজনি প্রদেশ।বিধ্বস্ত বা কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে আড়াইশ’ গৃহপালিত প্রাণী। তলিয়েছে হাজার হাজার বর্গকিলোমিটার কৃষি জমি। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট। রাজধানী কাবুল থেকে কেন্দ্রীয় বামিয়ান প্রদেশে যাওয়ার হাইওয়ে বন্ধ।
ভয়াবহ এ দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কাবুলের পশ্চিমে ও ময়দান ওয়ারদাকে। আশঙ্কা, বিধ্বস্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে নিখোঁজরা। তাদের জন্য চলছে তল্লাশি ও উদ্ধার তৎপরতা।
এ প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল্লাহ রাহিমি বলেন, রেড ক্রিসেন্ট, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করছি আমরা। বন্যা কবলিত এলাকায় সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি টিম পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে। জরুরি সহায়তাও দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২ লাখ মানুষ। ২০২২ সালে রেকর্ড বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ ডুবে যায়। মারা যায় অন্তত ১৭শ’ মানুষ।
/এসএইচ
Leave a reply