গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস গোটা বিশ্ব। তীব্র দাবদাহে বিনষ্ট হচ্ছে শত শত কৃষকের ক্ষেতের ফসল। অন্যরা যখন প্রকৃতির রুক্ষতায় দিশেহারা, তখন এই গরমই ইরাকের খেজুর চাষিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। অন্যান্য গাছের জন্য ক্ষতিকর হলেও উষ্ণ আবহাওয়া খেজুর গাছের জন্য বেশ উপকারী। তীব্র তাপমাত্রায় খেজুর দ্রুত পাকে। এছাড়া, খেজুরের গুণগত মান বৃদ্ধিতেও রয়েছে এই আবহাওয়ার ভূমিকা। আর তাই গ্রীষ্মের উত্তাপের অপেক্ষায় থাকেন ইরাকের খেজুর চাষিরা। খবর রয়টার্সের।
ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের শহর বশরায় চলতি গ্রীষ্মে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে পঞ্চাশ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য ফসলের জন্য এত তীব্র তাপ মরণঘাতী হলেও খেজুর গাছের জন্য তা বেশ উপকারী। অতিরিক্ত তাপ খেজুর দ্রুত পাকতে সহায়ক। গাছের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতেও রয়েছে প্রখর রোদের ভূমিকা।
আব্বাস আলি আবদেল লতিফ নামের ইরাকের এক খেজুর চাষি বলেন, অন্যদের জন্য ক্ষতিকর হলেও আমরা উচ্চ তাপমাত্রার জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করি। অন্য অনেক গাছ উচ্চ তাপমাত্র সহ্য করতে না পারলেও খেজুর গাছ তা ভালোভাবেই পারে। এমনকি তাপ খেজুর গাছের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি খেজুরের গুণগত মানও বৃদ্ধি করে।
এমনকি, ইরাকজুড়ে জনপ্রিয় খেজুরের বিশেষ শরবত ‘দামা’ তৈরিতেও প্রয়োজন প্রখর রোদ।
আব্বাস আলি আবদেল লতিফ আরও বলেন, এই অতিরিক্ত তাপমাত্রার আরও একটি উপকারী দিক হচ্ছে, এটি আমাদের খেজুরের শরবত তৈরিতে সহায়তা করে। শুধুমাত্র উচ্চ তাপমাত্রায় এই শরবত তৈরি করা যায়। শরবত বানানোর জন্য খেজুর সূর্যের তাপে রাখা হয়, সূর্যের রশ্মি যত তীব্র হয়, ততো ভালোমানের শরবত বানাতে পারি আমরা।
অবশ্য, প্রকৃতির এই রুক্ষ রূপ ইরাকের জন্য সুখকর নয়। প্রতিবছরই বাড়ছে দেশটির তাপমাত্রা। খড়া ও দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে কৃষিজমি। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় ইরাকের অবস্থান পঞ্চম।
/এমএন
Leave a reply