খুলনায় চলছে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা, ফাঁদে পা দিচ্ছে অনেকেই (ভিডিও)

|

খুলনার অনুমোদনহীন কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

খুলনা ব্যুরো:

মরণব্যাধি ক্যান্সার নিয়ে গবেষণার দাবি, সাথে বায়োপসিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের হরহামেশা পরীক্ষা হচ্ছে খুলনার একাধিক অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। বিনা বাধায় চলছে রমরমা বাণিজ্য। সরল বিশ্বাসে সে ফাঁদে পা দিচ্ছে অনেকে।

খুলনা নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় অবস্থান জেনারেল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের। নিয়মিত রোগ নির্ণয়ের বাইরে রীতিমতো ক্যান্সার নিয়ে গবেষণার দাবি সম্বলিত বিজ্ঞাপনও আছে তাদের। সেখানে করা হয় বায়োপসির মতো স্পর্শকাতর পরীক্ষাও। কে দিল এমন অনুমোদন?

জানতে চাইলে জেনারেল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা আবেদন করেছি। সরকার আমাদেরকে অনুমোদন দেবে।

মেডিকেল কলেজের সামনে সিটি ম্যাক্স হাসপাতাল। অপারেশনও হয় সেখানে। অথচ হাসপাতালেরই অনুমোদন নেয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকায় খুলনার এমন অবৈধ ক্লিনিক আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে অন্তত ২০০টি। এর অন্যতম খুলনা স্কয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার। এক সময়ের গোডাউন ঘর ভাড়া নিয়ে চলছে তাদের কার্যক্রম। যমুনা টেলিভিশন ক্যামেরা দেখে পালিয়েছেন পরিচালকরা। স্বাস্থ্য সেবার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ মিলেছে এসব ভূঁইফোড় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। নবায়ন হয়নি এমন ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর ক্লিনিকও ব্যবসা করছে বিনা বাধায়।

তবে এসবের সবই ঘটছে কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায়। কীভাবে কী হচ্ছে সেটিও জানা আছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের। এ প্রসঙ্গে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, অবৈধ বা প্নৈতিক যা কিছু হচ্ছে এসব করার অধিকার এদের কারো নাই। অনেক প্রফেসর ও অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর আছেন যারা মাসিক চুক্তিতে এরকম অনেক জায়গায় কাজ করেন। এটা পুরোপুরি নৈতিকতার ব্যাপার।

প্রসঙ্গত, অনুমোদনহীন ও নবায়ন ছাড়া যারা ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের তালিকা আছে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে, অথচ রহস্যজনক কারণে নেয়া হচ্ছে না কোনো কঠোর ব্যবস্থা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply