চট্টগ্রাম ব্যুরো:
টানা বর্ষণ ও জলাবদ্ধতা শেষে দৃশ্যমান হচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ক্ষত-বিক্ষত সড়ক। সেখানেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ সমস্যা সমাধানে চসিকের ভরসা ইটের সুড়কিতে! আর অন্যদিকে, ভোগান্তি থেকে মুক্তি চায় নগরবাসী। তবে মেয়র বলছেন, সহসাই কমছে না এ ভোগান্তি।
টানা বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের ব্যস্ততম আরাকান সড়ক। সড়কে তৈরি হওয়া গর্তের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন। কাদা মাড়িয়ে কোনোমতে পথচারীরা পার হলেও, গর্তে আটকে যাচ্ছে গাড়ি। ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে আধাঘণ্টারও বেশি! মানুষের ক্ষতি যেমন হয় তেমনি যেসব যানবাহন এই রাস্তায় চলে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
আরাকান সড়কের মতো বৃষ্টির পানি আর কাদায় ডুবে আছে চাঁন মিয়া সড়কও। কর্দমাক্ত পানিতে রাস্তাপার হওয়া যেন স্থানীয়দের নিয়তি। তাই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ওপর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, পাঁচ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে এই রাস্তায়। গত ১৫-২০ বছর ধরে রাস্তাগুলো এরকমই আছে, কোনো সংস্কার করা হয়নি। ঝড়-বৃষ্টি হলে নৌকায় চড়তে হয় আর শুকনা মৌসুমে ধুলা-বালির কারণে রাস্তায় হাঁটা যায় না।
শুধু এই দুই সড়কই নয়, বৃষ্টিতে ক্ষত-বিক্ষত বন্দরনগরীর এক-চতুর্থাংশ সড়ক। ইটের সুড়কি ফেলে যান চলাচলের ব্যর্থ চেষ্টা সিটি কর্পোরেশনের। তবে, বৃষ্টি কমলে সড়ক সংস্কারের আশ্বাস সিটি মেয়রের।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে তাই ফেসওয়্যার করার কোনো সুযোগ নেই। বড় বড় গর্তগুলো আপাতত ভাঙা ইট দিয়ে রোলার দিয়ে চাপিয়ে আমরা রাস্তাগুলো সমান করে দিচ্ছি।
/এসএইচ
Leave a reply