পাহাড়ি ঢল ও পাহাড় ধসের প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থানচি, রুমাসহ বান্দরবনের বেশ কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল। সড়কে ধস ছাড়াও রুমা-থানচির পথে পড়ে আছে পাহাড় ধসের স্তূপ। এ ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে এলোমেলোভাবে সড়কে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পড়েছে বড় বড় পাথর খণ্ডও।
বান্দরবানের থানচি, রুমাসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০টির মতো সড়ক ভেঙে খাদে পড়ে গেছে। এছাড়াও পাহাড় ধসে বন্ধ রয়েছে এসব এলাকার প্রায় ২০টি সড়ক। এতে স্থানীয়দের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় নষ্ট হচ্ছে কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন পচনশীল পণ্য। এছাড়া পাহাড় ধসে সড়কগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটন খাতে পড়েছে মারাত্মক প্রভাব। স্থানীয়দের জীবনযাপন স্বাভাবিক করতে দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে প্রশাসন বলছে, পাহাড়ি ঢল ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক মেরামত করতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে।
স্থানীয়রাও জানান, ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা এতটাই বেশি যে, অন্তত দুই/এক মাস সময় লেগে যাবে এসব মেরামতে। বান্দরবানের যতোই ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ততটাই প্রকট হয়ে ফুটে উঠছে। কয়েক স্থানে রাস্তা ভেঙে পড়ে গেছে। পাহাড় ধসের কারণে রাস্তার বেশ কিছু অংশ চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। এমন, রুমা থেকে বান্দরবান সদরে যাওয়ার পথে দলিয়ানপাড়া নামক স্থানের পথ সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা যে ফলফলাদি, সবজি, জুম চাষ করেন; তা এবার পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
/এম ই
Leave a reply