অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার

|

বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার।

তাওহীদ মিথুন:

কক্সবাজার এখন শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়। উপকূলের এই জেলা পরিণত হয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে। বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে। কাজ চলছে আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের। ভৌগলিক অবস্থানের সুবিধাকে কাজে লাগানো হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে। তিন দফার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বের প্রতিফলন পড়েছে এ জেলাতে।

দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। পর্যটনে বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড। পাহাড় আর সাগরের এমন মেলবন্ধন বিরল। গত সাড়ে চৌদ্দ বছরের পরিকল্পিত উন্নয়নে বদলে গেছে কক্সবাজার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দক্ষিণ পূর্বের এই জেলায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প।

কক্সবাজারে প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় সেই চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুন। আর লম্বা ছুটিতে এই শহরে থাকে না তিল ধারণের জায়গা।

কক্সবাজারের খুরুশকুলে স্থাপন করা হয়েছে দেশের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প। এর মাধ্যমে বাতাস থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মোট ২২টি টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে। ধাপে ধাপে এই বিদ্যুত প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো যাবে ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত।

কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালক মুকিত আলম খান বলেন, বর্তমানে আমাদের টার্গেট, কন্সট্রাকশনের সবকিছু যদি অনুকূলে থাকে, সেক্ষেত্রে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাবে।

মহেশখালীতে নেয়া হয়েছে ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা এসপিএম উইথ ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্প। আমদানী করা অপরিশোধিত তেল ও ডিজেল সাগরে নোঙ্গর করা জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পাঠানো হবে চট্টগ্রামে ইর্স্টান রিফাইনারি শোধনাগারে। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি ৯৭ ভাগ।

এসপিএম প্রকল্প কর্মকর্তা মনজেদ আলী শান্ত বলেন, এই প্রকল্পটি চালু হলে বাংলাদেশ সরকারের বছরে প্রায় আটশ কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হবে। পূর্বে মহেশখালি বা কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত তেল নিতে দশ থেকে বারো দিন লাগতো। এখন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আনা যাবে সেটা।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে চলছে বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ডিসেম্বরেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। মহেশখালীতে তৈরি হয়েছে দেশের একমাত্র এলএনজি টার্মিনাল। এখানেই হবে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply