আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে নতুন আইন

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

তৌহিদ হোসেন:

একের পর এক চমক দেখাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই। এর ব্যবহার কোথাও এখনও পুরোদমে চালু না হলেও বলা হচ্ছে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের সক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যাবে। এর অপব্যবহারে বিপদে পড়বে ব্যক্তি কিংবা দেশ। তাই তো, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ন্ত্রণে নতুন গাইডলাইন করেছে সরকার। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানালেন, প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে এআই নিয়ন্ত্রণে আইনও করবে সরকার।


ওপরের মনিটরে দেখা যাচ্ছে- পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গায় ঢুকছে গাড়ি। রাজধানীতে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য খালি জায়গায় ঠাঁই হচ্ছে এসব যানের। তবে, আশেপাশে ঠিক কোথায় পার্কিং করতে হবে তা বলে দিচ্ছে সফটওয়্যার। যা তৈরি হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে। ইদানিং এমন অনেক ইনোভেশন নিয়েই কাজ করছেন প্রযুক্তিবিদরা।

বন্ডস্টেইন টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এরকম বিভিন্নক্ষেত্রে এআইয়ের যে অ্যালগরিদম বা টেকনোলজি আছে সেগুলো ব্যবহার করে বিভিন্নরকম অ্যানালাইসিস দেয়ার চেষ্টা করছে যেগুলো সাধারণত মানব মস্তিষ্কের জন্য কষ্ট বা সময়সাধ্য ব্যাপার ছিল।

হালআমলের নতুন ক্রেজের নাম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এটি মূলত প্রযুক্তিকে মানুষের মতো চিন্তাশক্তি, বুদ্ধি কিংবা বিশ্লেষণ করানোর একটি ধারণা। যা মূলত করা হয় ইন্টারনেটে তৈরি হওয়া বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়াজাতকরণের মধ্য দিয়ে। আর তা সহজ করতেই বিজ্ঞানিরা তৈরি করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যা কাজ করবে অনেকটাই মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে।

বাংলাদেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সবচেয়ে ব্যবহার হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে। চ্যাটজিপিটির সুবাদে প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর ও সেসবের বিশ্লেষণ মিলছে অনলাইনেই। এআইয়ের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় ছবি, টার্ম পেপার এমনকি থিসিসও তৈরি করে নেয়া যাচ্ছে। তবে প্রশ্ন হলো, এআই এসব করতে থাকলে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার কি হবে?

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আগে তো গুগল ব্যবহার করা হতো। আর এখন সরাসরি চ্যাট জিটিপি’র সাহায্য নেয়া হচ্ছে। এতে পড়াশোনা করা অনেকটা সহজ হয়ে গেলেও আমরা আর আগের মতো পড়া বা পরিশ্রম যেটা করতাম সেটা আর অনেকেই করবো না। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে মনে হয় সামনে আমাদেরকে প্রযুক্তির সাথেই প্রতিযোগীতায় নামতে হবে।

এ প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অনেকেই ধারণা করছেন যে- এআইকে রেগুলেট না করলে এটি পৃথিবী ধ্বংসের হুমকির মতো হুমকি তৈরি করতে পারে। আমরা আপাতত যে গাইডলাইন তৈরি করেছি তার সাথে মিলিয়ে অদূর ভবিষ্যতে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করবো।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গাইডলাইন বলছে, আগামী ৫ বছরে প্রযুক্তিতে দক্ষ ৫০ হাজার জনবল তৈরি করবে সরকার। গুরুত্ব পাবে জনসেবা, শিল্প, কৃষি, যোগাযোগ, শিক্ষাসহ ৭টি খাত। কিন্তু, তারও আগে দরকার পর্যাপ্ত অবকাঠামো আর ডেভেলপারদের সদিচ্ছা। কিন্তু, এখনই দেশে এআই নিয়ে আলাদা আইনের পক্ষে নন প্রযুক্তিবিদরা

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণে নতুন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply