প্রকৃতি প্রেমের অনন্য নজির গড়লেন লিবিয়ার হুসেইন

|

সমাজ, পরিবেশ ও চারপাশ চাইলেই বদলে ফেলা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন শুধু ইচ্ছাশক্তি ও প্রচেষ্টা। লিবিয়ার বৃক্ষপ্রেমি হুসেইন বিন সাসি স্থাপন করেছেন এমনই দৃষ্টান্ত। দেশটির আল মারকাব বনে পরিচর্যা ও পানি দিয়ে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন মৃতপ্রায় বহু গাছের। যা মানুষের অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি হিসেবে কাজ করছে। খবর রয়টার্সের।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আর মানুষের আগ্রাসনে ক্রমেই কমছে গাছপালার সংখ্যা। দেশে দেশে যে হারে বনভূমি উজার হচ্ছে তা ভবিষ্যতের জন্য বড় হুমকি।

এরমাঝেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বনাঞ্চল রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত বিভিন্ন সংস্থা কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে হরহামেশাই দেখা যায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। শুধু গাছ লাগালেই কি দায়িত্ব শেষ?

বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া, তীব্র দাবদাহ, ভূপৃষ্ঠের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াসহ নানা কারণে পানির অভাবে বেড়ে ওঠার আগেই মারা যায় বহু গাছ।আর তাই প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্যা। অন্যরা যেখানে গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব সারছেন সেখানে লিবিয়ার আল মারকাব বনে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি নিয়মিত গাছে পানি দিয়ে যাচ্ছেন হুসেইন বিন সাসি। তার চেষ্টায় এ পর্যন্ত প্রাণ ফিরে পেয়েছে বনটির অন্তত চার হাজার মৃতপ্রায় গাছ।

জানতে চাইলে এ ব্যপারে হুসেইন বিন সাসি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃষ্টিপাতের অভাব, উচ্চ তাপমাত্রা এবং বন উজারের কারণে গাছের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন পুনরুদ্ধারে বেশকয়েকটি ক্যাম্পেইন করেছি আমি। আল্লাহকে ধন্যবাদ আমার সেচ প্রক্রিয়ার কারণে বনে জীবন ফিরে আসছে।

তিনি আরও বলেন, খেয়াল করে দেখলাম গাছ লাগানোর পর রোপণ করা গাছের আর কোনো যত্ন নেয়া হয় না। আর তাই বন পুনরুদ্ধারে বৃক্ষরোপণ করা হলেও সেগুলো ঠিকমতো বেড়ে উঠছে না। এ কারণেই সিদ্ধান্ত নেই গাছে পানি দেয়ার। এটি কষ্টকর কাজ হলেও যখন দেখি পানি পেয়ে গাছগুলো বেড়ে উঠছে তখন সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।

৬৫ বছরের এই জীবনের বেশিরভাগ সময়ই হুসেইন অবশ্য ব্যয় করেছেন বনায়ন এবং পরিবেশের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু করেন গাছে পানি দেয়া ও পরিচর্যার কাজ।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply