গাইবান্ধায় তিস্তা ও যমুনা নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত কয়েকদিনে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ভিটেমাটি হারিয়ে অর্ধশতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন স্কুল মাঠে। কেউবা ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। আর ভাঙন রোধে বরাবরের মতোই জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চোখের সামনে নদীতে বসতভিটে বিলীন হতে দেখেছেন সাঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাটের রাহেলা বেগম। শুধু রাহেলা বেগমই নয়, তার মতো অনেকেরই এই নি:স্ব চিত্র। অনেকেই হারিয়েছেন মাথা গোজার ঠাঁই। যমুনার পানি কমার সাথে গত কয়েকদিনে মুন্সিরহাট এলাকার দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এর মধ্যেই বিলীন হয়েছে বেশকিছু বসতভিটে, ফসলি জমি ও গাছপালাসহ বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, ভাঙন দেখা দিয়েছে তিস্তা নদীতেও। আতঙ্কে দিন কাটছে হরিপুর, কাপাসিয়া ও বেলকাসহ নদী
তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। হুমকির মুখে স্কুল, মসজিদ, কবরস্থান ও বাজারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বাড়িঘর
হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন স্কুল মাঠে। কেউব কেউ ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। তবে খেয়ে না খেয়ে দিন
কাটলেও কেউ খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ আশ্রয় নেয়া মানুষদের।
ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলাসহ স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
/এএম
Leave a reply