সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হতাহতের ঘটনা এখনও শূন্যের কোঠায় নেমে না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম।
ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে ৪৭তম সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আজ শুক্রবার বিজিবি কর্তৃৃৃক এক প্রেস বিজ্ঞতিতে এমনটি জানানো হয়েছে।
এর আগে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হতাহতের ঘটনা রোধে বিএসএফ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বিজিবি মহাপরিচালক ধন্যবাদ জানান।
এই সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা, আইপিএস-এর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ নেয়।
সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক দাবি করেন, সীমান্তে হতাহতের ঘটনা এড়াতে বিএসএফ জীবননাশী নয় এমন অস্ত্র (Non-lethal) ব্যবহার করছে।
বিএসএফ মহাপরিচালক ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচার রোধে সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিজিবিসহ বাংলাদেশের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রশংসা করেন। এসময় উভয় মহাপরিচালক যশোর সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ এর কার্যকারিতার প্রশংসা করেন এবং অন্যান্য সীমান্তে পর্যায়ক্রমে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণা করতে নীতিগতভাবে সম্মতি প্রকাশ করেন।
এছাড়া সম্মেলনে ইচ্ছাকৃত সীমান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে এবং উভয় পক্ষ মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক প্রচেষ্টা গড়ে তোলার প্রতি সম্মতি দেন।
মহাপরিচালক পর্যায়ের পরবর্তী সীমান্ত সম্মেলন ২০১৯ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠানের ব্যাপারে উভয় পক্ষ নীতিগতভাবে সম্মতি প্রকাশ করেন।
Leave a reply