ইসরায়েলের মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরখাস্ত

|

ইসরায়েলি মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের জেরে মন্ত্রিত্ব হারালের লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মাঙ্গোস। সোমবার (২৮ আগস্ট) তাকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দ্বীবাহ। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

গত রোববার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোহেনের দেয়া এক বিবৃতি থেকে জটিলতার সূত্রপাত হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে একটি সম্মেলনের ফাঁকে তিনি নাজলা মাঙ্গুশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং ইসরায়েল ও লিবিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে বড় ধরনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ইতালির রোমে ইসরায়েল ও লিবিয়ার শীর্ষ এই দুই নেতার সাক্ষাতের বিষয়টি প্রকাশের পরই শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ক্ষোভে ফুঁসে উঠে লিবিয়ার সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ সহিংসতায় উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ত্রিপোলিসহ কয়েক শহরে। যদিও বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মন্ত্রিত্ব খোয়ানো নাজলা মাঙ্গোস। তার দাবি, অপ্রত্যাশিতভাবেই রোমে একই অনুষ্ঠানে তাদের সাক্ষাৎ হয়। কোনো বৈঠক নয়, কেবল অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়।

যদিও গুঞ্জন উঠেছে, তাদের বৈঠকের সময়কাল ছিল এক ঘণ্টারও বেশি। ঐতিহাসিকভাবেই ফিলিস্তিনের সমর্থক লিবিয়া। ইসরায়েলের সাথে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই দেশটির। তাই তেল আবিবের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকের যেকোনো উদ্যোগই আগুনে ঘি ঢালা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বৈঠকের বিষয়টি অবশ্য বেশ ফলাও করে প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাতকে সম্পর্ক স্থাপনের পথে প্রথম ও ঐতিহাসিক পদেক্ষপ হিসেবে উল্লেখ করে তারা। এমনকি লিবিয়া সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই ওই বৈঠকের অনুমতি দেয়া হয়েছিল বলেও দাবি তাদের।

সম্প্রতি আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবেই ইহুদি রাষ্ট্রটি লিবিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply