যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বেপরোয়া আচরণে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে: কিম জং উন

|

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বেপরোয়া আচরণের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে কোরীয় উপদ্বীপের সমুদ্র অঞ্চল আর এর ফলে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। দেশটির নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন অভিযোগ করেন তিনি। এসময় উত্তর কোরিয়ার নেভিকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার ঘোষণাও দেন কিম। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) নৌবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে মেয়েকে নিয়ে যোগ দেন কিম জং উন। সেখানে নেভি কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি। নৌ সেনাদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও স্যালুট গ্রহণ ছাড়াও পারমাণবিক কর্মসূচির প্রস্তুতিও দেখেন এই নেতা।

সেখানে দেয়া এক ভাষণে কিম জং উন অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শক্তির উস্কানিমূলক সামরিক কর্মকাণ্ড কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এতে পারমাণবিক সংঘাতের শঙ্কাও বেড়েছে। শত্রুপক্ষকে মোকাবেলায় নেভাল ফোর্সকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি। পরমাণু কর্মসূচির পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি সামরিক ইউনিটগুলোর প্রতিটিকে নতুন অস্ত্র দেয়ার ঘোষণাও দেন কিম।

এমন এক সময় উত্তর কোরিয়া নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দিলো, যখন দক্ষিণ কোরিয়া উপকূলে যৌথ সামরিক মহড়া চলছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গ্রীষ্মকালীন মহড়া শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার ইয়াংইয়াং উপকূলে প্রশিক্ষণে অংশ নেয় দুই দেশের প্রায় একশ’ সেনা। উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত পরমাণু কর্মসূচি ও মিসাইল পরীক্ষার জবাবে, এই মহড়াকে দেখা হচ্ছে সত্যিকারের যুদ্ধপ্রস্তুতি হিসেবেই।

এনিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার স্পেশাল অপারেশন কমান্ডার ক্যাপ্টেইন জে বলেন, ৭০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রস্তুতিতে সহায়তা করছে এই প্রশিক্ষণ। প্রতি মুহূর্তে আমাদের সমন্বিত সক্ষমতা ঝালাই করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়া স্পেশাল ওয়ারফেয়ার কমান্ড মেজর লি চ্যাং হুন বলেন, বিশেষ অভিযান পরিচালনায় আমাদের শক্তিমত্তা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সাথে বিভিন্ন অভিযানের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন কৌশল শিখছি। প্রকৃত যুদ্ধের জন্য যৌথ প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া এবারের সামরিক মহড়ার পরিধি সবচেয়ে বড় বলে ঘোষণা দিয়েছে সিউল। বেশ কিছুদিন ধরেই কোরীয় উপদ্বীপে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিপরীতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে জবাবও দেয় উত্তর কোরিয়া।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply