উদ্ধারকাজে অসহায় সেনাবাহিনী, বহির্বিশ্বকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান মরক্কোর

|

উদ্ধারকাজ পরিচালনায় নানা সমস্যায় মরক্কো।

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মরক্কোয় নেই উদ্ধারকাজ পরিচালনার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। রীতিমতো শুন্য হাতেই দুর্গত এলাকায় কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এ পরিস্থিতিতে উত্তর আফ্রিকার দেশটির সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ব্রিটেন-স্পেন-কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। খবর রয়টার্সের।

মরক্কোর ভূমিকম্প দুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযানে নামা সেনাসদস্যদের অবস্থা ঢাল-তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দারের মতো। প্রত্যন্ত বহু এলাকায় পৌঁছাতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল। এ প্রসঙ্গে ওই অঞ্চলের একজন বাসিন্দা বলেন, ভূমিকম্পের সময় ক্যাফেতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বাবা মারা গেছেন। আটকা পড়াদের বাঁচাতে শুক্রবার থেকে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়রা পরস্পরকে সাহায্য করছে। অথচ এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কোন কর্মকর্তা আসেননি।

স্বেচ্ছাসেবী ওয়াজামাত হুসেইন বলেন, ৫-৬ মাস আগে জোরালো ভূমিকম্পে তুরস্কের দুর্দশা দেখেছি। সেসময় সমবেদনা দেখিয়েছিলো পুরো বিশ্ব। প্রত্যাশা, মরক্কোর পাশেও সবাই দাঁড়াবেন। খাবার, জরুরি ওষুধ আর গরম কাপড় দিয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এতো বড় দুর্যোগ মোকাবেলার সাধ্য বা সামর্থ্য নেই মরক্কোর। তবু ডিক্রি জারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ্ ষষ্ঠ মোহাম্মদ। জরুরি বৈঠকে বর্হিবিশ্বকে জানান পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান। দেশটির সরকারি মুখপাত্র মুস্তাফা বাইতাস জানান, বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক হয়েছে। সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ সরবরাহ ও সংস্কারের বিষয়ে দেয়া হয়েছে তহবিল বরাদ্দ। দুর্গত এলাকার মানুষদের সহযোগিতার জন্য বাদশাহ জারি করেছেন একটি খসড়া ডিক্রিও।

এদিকে, উত্তর আফ্রিকার দেশটির সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে প্রতিবেশী স্পেন। ব্রিটেন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঠিয়েছে ত্রাণ, বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দল, ডগ স্কোয়াড ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।

পানি গবেষণা ইন্সস্টিটিউট পরিচালক ঘানি শেবুনি বলেন, প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাবর্ত্য এলাকা। সরকার সাধ্যমতো আশ্রয় দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু শীত মৌসুমের আগে ঘরবাড়ি হারালো মরোক্কানরা, যা সবচেয়ে ভোগান্তির।

মরক্কোর জাতীয় ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য অনুসারে, গত দুদিনে দুর্গত এলাকাগুলোয় আরও ২৫টি আফটারশক বা অনুকম্পন রেকর্ড করা হয়েছে। যেগুলো তিন থেকে ৪ দশমিক ৫ মাত্রার।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply