শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে একটি ক্যাফে। নাম ‘ক্রিকেট ক্লাব ক্যাফে’। ক্রিকেটের নানা ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারকে ঘেরা এই ক্যাফে যেন ক্রিকেটের এক জাদুঘর। তবে এই ক্যাফের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় এর মেন্যু কার্ড। যেখানে বিখ্যাত সব ক্রিকেটারদের নামে সাজানো হয়েছে নানারকম ফুড আইটেম। আছে বর্ডার বার্গার থেকে শুরু করে ওয়ার্নিস উইকেট টেকিং নাচোস।
‘ক্রিকেট ক্লাব ক্যাফে’তে রয়েছে ১৯৬৮ সালে নটিংহামের হয়ে ক্যারিবীয় লিজেন্ড স্যার গ্যারি সোবার্সের ৬ বলে ৬ ছক্কা মারায় ব্যবহৃত ব্যাট। আছে স্যার ডন ব্যাডম্যান ও শচীন টেন্ডুলকারের অটোগ্রাফ দেওয়া ব্যাট। ওয়াসিম আকরামের বিশ্বকাপ ফাইনালের জার্সি, সুনীল গাভাস্কারের হ্যাট, জোয়েল গার্নারের জুতা কিংবা বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কা দলের অটোগ্রাফ দেওয়া ব্যাটসহ ক্যাফেটিতে রয়েছে বিশ্বজয়ী রথী মহারথীদের স্যুভেনির।
আইকনিক একটি উডেন ট্রাফিক সিগনাল আছে, যেখান থেকে বিশ্বের নামীদামী সব ক্রিকেট ভেন্যুগুলোর অবস্থান ও দূরত্ব নির্দেশ করে। আছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দূরত্বের প্রেমাদাসাসহ ২৮৭৫ কিলোমিটার দূরত্বের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দিক নির্দেশনাও।
তবে এতোকিছুর ভিড়ে এখানকার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এর ফুড মেন্যু। ক্রিকেট ক্লাব ক্যাফের প্রতিটি ফুড আইটেমের নামকরণ করা হয়েছে বিশ্বের সব তারকা ক্রিকেটারদের নামে। আছে গাভাস্কার গ্রিক, ডোনাল্ডস ডিলাক্স বার্গার, ম্যাককালামস মেক্সিক্যান ওয়ার্প কিংবা জয়সুরিয়াস ট্রিপল সেঞ্চুরি থেকে শুরু করে ভিভস ভেজি বেক কিংবা ওয়ার্নিস উইকেট টেকিং নাচোস।
তবে এই ক্যাফের দেয়াল কিংবা ফুড মেন্যুজুড়ে দেখা মেলেনি বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারের নামে কোন খাবার কিংবা কোনো অর্জনের স্মৃতিচিহ্ন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অর্জনের গল্প এখানে লেখা না থাকলেও আছে গর্বের লাল সবুজের পতাকা।
/এএম
Leave a reply