যথাসময়েই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিৎ ছিলো। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি মিয়ানমার-বাংলাদেশের সমন্বয়ের অভাবে। বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম অন আসিয়ান সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো স্বীকার করে নেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় তার সরকারের শতভাগ প্রচেষ্টা ছিলো না।
গেলো নভেম্বরে মিয়ানমার-বাংলাদেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ সই হওয়ার পর, কেটে গেছে ৯ মাস। কিন্তু, পরিচয়পত্রে তথ্য বিভ্রাট, ছবি-আঙ্গুলের ছাপ সংযুক্ত হয়নি- এমন নানা কারণ দেখিয়ে এখনো শুরু করা যায়নি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া।
সু চি বলেন, নভেম্বরে বাংলাদেশের সাথে সই হওয়া সমঝোতা স্মারক অনুসারে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু, বাংলাদেশ সেসময় জানিয়েছে- তারা পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। যেহেতু এই প্রক্রিয়ার সাথে দু’দেশ সম্পৃক্ত; সুতরাং আমরা এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কারণ, সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাংলাদেশ থেকে আগে ফেরার ইচ্ছা থাকতে হবে। আমরা প্রতিবেশী দেশে ঢুকে, তাদের নিয়ে আসতে পারি না।
তিনি বলেন, রাখাইন সংকটের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ছিলো, এখনও রয়েছে। সেনাবাহিনী কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে- এই প্রশ্নে না যেয়ে যদি জিজ্ঞেস করেন, সরকারের ভূমিকা কি ছিলো? তাহলে বলবো– গণতান্ত্রিক সরকার মাত্র ৭৫ শতাংশ ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিলো। স্বীকার করে নিচ্ছি, সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতভাগ দেয়াটা উচিৎ ছিলো প্রশাসনের।
বাংলাদেশ সরকার, চলতি বছর এপ্রিলে ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা পাঠায় মিয়ানমারে। কিন্তু, নেইপিদো জানায়- যাচাই-বাছাই, ত্রুটি সংশোধনের পরই তারা গ্রহণ করবে এসব সংখ্যালঘু মুসলিমদের। গেলো এক বছরে, রাখাইনে সেনা নিপীড়ন থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা।
যমুনা অনলাইন:এফএম
Leave a reply