আলোচনায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ২০ দেশের ওপর পড়েছে খড়গ

|

বিশ্ব রাজনীতিতে চর্চার বিষয় এখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশান নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। হরহামেশাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খড়গ পড়ছে ইরান-উত্তর কোরিয়ার ওপর। অস্ত্র, প্রযুক্তি ও আর্থিক খাতে এসব নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন। মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম-হত্যাসহ নানা অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টিরও বেশি দেশ শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধের।

মূলত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চল শুরু হয় ১৯২৫ সাল থেকে। ১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০টিরও বেশি দেশে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত চার ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। সেগুলো হলো অস্ত্র, দ্বৈত ব্যবহার যোগ্য প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক সহায়তার ওপর সীমাবদ্ধতা এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।

মার্কিন প্রশাসনের ১১টি সংস্থা বা দফতরের পক্ষ থেকে দেয়া হয় এসব নিষেধাজ্ঞা। পররাষ্ট্র, অর্থ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষাসহ মার্কিন নীতিনির্ধারণী বেশিরভাগ সংস্থা এবং দফতরের রয়েছে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার এখতিয়ার। আইন অনুযায়ী সকল মার্কিন নাগরিক এসব দফতরের নিষেধাজ্ঞা মানতে বাধ্য।

মূলত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম-হত্যা, মাদক, অর্থপাচার, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট, ব্যক্তি স্বাধীনতাহরণসহ বিভিন্ন কারণে এসব কড়াকড়ি আরোপ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এবং দেশ এই তিন প্রক্রিয়ায় দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। আর এসব নিষেধাজ্ঞার প্রভাবও বহুমুখী। কড়াকড়ির কারণে নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ জব্দ করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় বাণিজ্য। কানাডা-ব্রিটেন-জার্মানির মতো মার্কিন মিত্ররাও অনুসরণ করে ওই নিষেধাজ্ঞা।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারমধ্যে আলোচিত হলো ইরান, উত্তর কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং কিউবার ওপর কড়াকড়ি। এই ৫ দেশেই রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply