১৪ জুলাই ২০১৯। এই দিনে ক্রিকেট বিশ্ব সাক্ষী হয়েছিল রোমাঞ্চকর এক ফাইনালের। নির্ধারিত ১০০ ওভার শেষে টাই হয় ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেই লড়াই। নাটকীয়তা চরমে তখন ম্যাচ। সমতায় শেষ হওয়ায় সুপার ওভারের লড়াইয়েও হয়নি নিষ্পত্তি।
চ্যাম্পিয়ন বেছে নিতে আইসিসিকে ধরতে হলো ভিন্ন পথ। ম্যাচ এবং সুপার ওভার মিলিয়ে বেশি বাউন্ডারি মারায় জয়ী ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বাউন্ডারি ছিল ১৭ টি আর ইংলিশদের ২২টি। মূলত এই বাউন্ডারি সংখ্যাই এগিয়ে থাকায় জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল ইংলিশদের।
টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের সুপার ওভারের এই নিয়ম সেদিন ইংল্যান্ডের পক্ষে গেলেও ক্রিকেট বোদ্ধাদের কাছে খুব একটা গ্রহনযোগ্যতা পায়নি। যে কারণে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর শুরুর ঠিক আগেই সেই নিয়ম বদলাতে বাধ্য হয় আইসিসি।
গেল ২ অক্টোবর এই বাউন্ডারির নিয়ম বদলে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আইসিসির কোনো ধরনের টুর্নামেন্টেই আর এটি প্রয়োগ হবে না বলে সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সেক্ষেত্রে গ্রুপ পর্বে যদি সুপার ওভার টাই হয় তবে ম্যাচও টাই হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। আর সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে একটিই পরিবর্তন। প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি রান করতে হবে। যতক্ষণ কেউ প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি রান না নিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকবে সুপার ওভার।
লর্ডসের সেই ফাইনালে আম্পায়ার ওভার থ্রোর নিয়ম ভুল না করলে নিউজিল্যান্ডই বিজয়ী হতো। এরপর সুপার ওভারেও বাউন্ডারির নিয়মে কপাল পুড়েছিল কেন উইলিয়ামসনদের। এনিয়ে আইসিসিকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন ‘টাইটানিকের জন্য ভালো দুরবীন দেয়া যাতে আইসবার্গ ভালো করে দেখা যায়।’
তবে আইসিসির এই নিয়ম পরিবর্তনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঐ আসরে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগ্যান।
/আরআইএম
Leave a reply