সিরিয়ায় তুরস্কের ড্রোন ভূপাতিত করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলো যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে প্রথমবার ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের আকাশযানে হামলা চালানোর নজির গড়লো মার্কিনিরা। এতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে দুই দেশের সম্পর্কে। ওয়াশিংটন অবশ্য বলছে, মার্কিন ঘাঁটির কাছাকাছি চলে আসায় ড্রোনটি ধ্বংস করতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ও আখ্যা দিয়েছে পেন্টাগন। খবর আল জাজিরার।
নজিরবিহীন এই কাণ্ডে, সামরিক জোটটিতে অস্থিরতা তৈরির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে কথা বলে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
এর আগেও একবার তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ২০১৯ সালে এই সিরিয়াতেই একবার তুর্কি ও মার্কিন সেনারা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিলো। তবে, সেবার কোনো অস্ত্র ব্যবহার ছাড়া সংকটের সমাধান করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। আলোচনার মাধ্যমেই নামিয়েছিলো উত্তেজনার পারদ।
কুর্দিদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সিরিয়ার হাসাকা অঞ্চলে হামলা চালানোর সময় তুরস্কের একটি ড্রোন তাদের সেনা ঘাঁটির বিপজ্জনক সীমায় ঢুকে পড়ে। নিজেদের জন্য হুমকি মনে হওয়ায় এফ-16 ফাইটার জেট থেকে গুলি ছুড়ে তা ধ্বংস করে মার্কিন সেনারা। যদিও এই ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছে পেন্টাগন।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, তুরস্ক আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ন্যাটো মিত্রদের একটি। তাদের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত আছে এবং থাকবেও। ড্রোন ভূপাতিতের ঘটনাটি অবশ্যই দুঃখজনক। হাসাকায় হামলা চালানোর সময় তাদের একটি ড্রোন মার্কিন বাহিনীর অবস্থানের আধা কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসে। সেটিকে হুমকি বিবেচনা করে এফ-16 জঙ্গি বিমান দিয়ে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply