ফিলিস্তিনকে নিয়ে ইসরায়েলের সব নীতি ব্যর্থ!

|

ছবি: সংগৃহীত।

ফিলিস্তিন ও হামাসকে নিয়ে ইসরায়েলের অতীতের সব নীতি ব্যর্থ হয়েছে। এতোদিনের চেষ্টায় হামাসকে কোণঠাসা করতে তো পারেইনি ইসরায়েল, বরং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। খবর আল জাজিরার।

বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর ইসরায়েল বরাবরই ফিলিস্তিনিদের কোণঠাসা করে রাখার নীতি অবলম্বন করেছে। নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে অঞ্চলটিকে অবরুদ্ধ করে রাখার পাশপাশি অভিযানের নামে চালিয়ে আসছে আগ্রাসন। হামাস মতো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দুর্বল রাখতে, তাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যার ঘটনাও বারবার ঘটিয়েছে ইসরায়েল।

এতসব করেও কী খুব একটা লাভবান হয়েছে ইসরায়েল? তেল আবিবের চাপ সত্ত্বেও, নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়িয়েছে হামাস। ক্রমশ সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে তারা। তৈরি করছে নিত্যনতুন সমরাস্ত্র। রকেটের পাশপাশি ভাণ্ডারে যোগ করেছে অত্যাধুনিক ড্রোন। এছাড়াও, তারা নিজেরাই বানিয়েছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফিলিস্তিনিদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি, যার প্রমাণ ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলা।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহল বলছে, চাপ সৃষ্টি করে কিংবা আগ্রাসন চালিয়ে গাজার বাসিন্দাদের ওপর ইসরায়েলের আধিপত্য বিস্তারের এই কৌশল সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। উল্টো বাড়বে সংঘাত, যা ছড়িয়ে পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে।

এ বিষয়ে আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত বলেন, গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের ওপর প্রতিশোধ নিয়ে ইসরায়েল নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করে সংকট সমাধানের জন্য আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে। ইসরায়েল যদি তাদের আগ্রাসী মনোভাব পরিবর্তন না করে, তবে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন চলতে থাকলে সেটি কেবল গাজা বা গাজার আশপাশের যুদ্ধে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পরিধি আরও বাড়বে।

এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্দি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি যুদ্ধের সাক্ষী হচ্ছি আমরা। এই সংঘাত বাড়লে তা দুই দেশের জনগণের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনবে। চলমান উত্তেজনা অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। সংকটের সমাধান না করলে, তা হবে বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিন নীতিতে এবার পরিবর্তন আনতে হবে ইসরায়েলকে। যার সম্ভাব্য একটি পথ আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা। নয়তো এবারের মতো ভবিষ্যতে আরও সংঘাতময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে তাদের।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে নজিরবিহীন এই হামলা চালানো হয়। এর জেরে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি আক্রমণে গাজায় প্রাণহানি ছাড়িয়েছে অন্তত ৭০৪ জন এবং ইসরায়েলে মৃত্যু ৯০০ ছাড়িয়েছে।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply