ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লেবানন-ইসরায়েল পরিস্থিতি। যে হারে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বাড়ছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ। যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধে হিজবুল্লাহ’র জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে, সংগঠনটিও দিয়েছে কড়া হুঁশিয়ারি। জানিয়েছে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তারা। শনিবার (১৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সম্প্রতি, যুদ্ধে নিষিদ্ধ সাদা ফসফরাসের মতো বোমাও ব্যবহার করছে তেল আবিব। এতে বাড়ছে প্রাণহানি। সেই সাথে বাড়ছে হামাসের মিত্র লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র ক্ষোভও।
ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ, যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে দিচ্ছে হুমকি-ধামকি। এমনকি তেল আবিবের সেনা পোস্টে করেছে হামলাও। সংঘাতের শুরু থেকেই, উত্তেজনা বিরাজ করছে ইসরায়েলের লেবানন সীমান্তে। ক্রমেই সেই উত্তেজনা আরও বাড়ছে। উত্তরাঞ্চলের এই সীমান্তে দেশটি বাড়িয়েছে সেনা সংখ্যা, জমা করেছে সমরযানও।
এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তে বেধে যেতে পারে যুদ্ধ, এই শঙ্কায় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী। বাড়িয়েছে টহল, যানবাহন আর বাড়িতে বাড়িতে চালাচ্ছে তল্লাশি। অনেকেই বলছেন, হিজবুল্লাহ যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে পরস্থিতি হবে ভয়াবহ; যুদ্ধে ছড়িয়ে পড়বে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে।
ধারণা করা হচ্ছে, হিজবুল্লাহর সাথে সংঘাত এড়াতেই গাজায় স্থল অভিযান চালাতে দেরী করছে তেলআবিব। বিশ্লেষকদের শঙ্কা, ইসরায়েল স্থল অভিযান শুরু করলেই যুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীটিও সরাসরি অংশ নেবে।
এ প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ উপ-প্রধান নাইম কাশেম বলেন, পরাশক্তি অনেক দেশ, আরব বিশ্ব এমনকি জাতিসংঘের প্রতিনিধিরাও নানাভাবে আমাদের যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে না করছে। অথচ তারাই যুদ্ধ বন্ধের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা হিজুবুল্লাহ, নিজেদের পরিকল্পনা আর লক্ষ্য অনুযায়ী এই যুদ্ধে অবদান রাখবো, আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। শত্রুর প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা হচ্ছে। আক্রমণের সময় হলে আমরা অবশ্যই সেটি করবো।
যুদ্ধ লেবাননে ছড়িয়ে পড়লে, পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ার শঙ্কা আন্তর্জাতিক মহলের। আধুনিক অস্ত্রশসস্ত্রের মালিক হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতাও হামাসের চেয়ে বেশি। এছাড়া, ভৌগলিক কারণেও রয়েছে সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা।
এর আগে, ২০০৬ সালে মাসব্যাপী ভয়াবহ সংঘাতে জড়ায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। সেই যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরই নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে নজর দেয় ইসরায়েল, তৈরি করে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম।
/এআই
Leave a reply