কুড়িগ্রামে ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেয়ার অভিযোগ

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, কুড়িগ্রাম:

অনুপস্থিত শিক্ষকরা হাজিরা খাতায় উপস্থিত। ক্লাস নেন প্রক্সি শিক্ষকরা। নিয়মিত হয় না পাঠদানও। এমন অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের ঝুনকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর নুনখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, নদী ভাঙনের শিকার ওই বিদ্যালয় দুটিতে ক্লাস হয় ছাপড়া ঘরে। ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান দেন ২ জন প্রক্সি শিক্ষক। স্থানীয়দের দাবি, স্কুল চালুর পর থেকেই প্রক্সি শিক্ষকে ক্লাস নেন তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই বিদ্যালয়ের দুইজন প্রক্সি শিক্ষক জানান, মূল শিক্ষকদের পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে কাজ করেন তারা। তাদের সাথে শিক্ষকদের খুব কম দেখা হয় বলেও জানান তারা।

অপরদিকে, প্রায় আট মাস ধরে নাগেশ্বরীর চর নুনখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঝুলছে তালা। ভাঙাচোরা বেঞ্চ-চেয়ার-টেবিল। পরিণত হয়েছে গো-চারণ ভূমিতে।

অভিভাবকদের দাবি, ৪ শিক্ষকের কেউই নিয়মিত স্কুলে আসেন না। নিজেদের খেয়ালখুশি মতো চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৮ মাস ধরে বন্ধ পাঠদান। শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় দুই শতাধিক শিশু।

তবে স্কুলের অনিয়ম মানতে নারাজ প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান। তার দাবি, ওই শিক্ষকরা নিয়মিতই স্কুলে উপস্থিত থাকেন এবং প্রতিদিনি ক্লাস হয়।

এ নিয়ে জেলার শিক্ষাবিভাগের দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস গণশিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের। তিনি বলেন, প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। এরকম হলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

এএস/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply