শাখারভ পুরস্কার পেলেন মাহশা আমিনি, পুরস্কৃত হলো ইরানের নারী আন্দোলনও

|

ছবি: সংগৃহীত

হিজাব ইস্যুতে পুলিশি হেফাজতে মারা যাওয়া মাহশা আমিনিকে (২২) সর্বোচ্চ মানবাধিকার বিষয়ক শাখারভ পুরস্কারে ভূষিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এই পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়।

মানবাধিকারের সর্বোচ্চ এই পুরস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে মাহশা আমিনি ও ইলন মাস্ককে মনোনীত করা হয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত এ পুরস্কারের জন্য আমিনিকেই বেছে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মাহশা আমিনির মৃত্যুর জেরে ইরানে শুরু হওয়া ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলনকেও যৌথভাবে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্তা মেটাসোলা বলেন, ২২ বছর বয়সী মাহশার নৃশংস হত্যাকাণ্ড একটি সন্ধিক্ষণকে চিহ্নিত করেছে। তার মৃত্যু নারী নেতৃত্বাধীন একটি আন্দোলনের সূত্রপাত করেছে, যা ইতিহাস তৈরি করছে।

মানব অধিকার ও স্বাধীনতা বিষয়ে আজীবন সোচ্চার ছিলেন মস্কোয় জন্মগ্রহণ করা সাবেক সোভিয়েত পরমাণু বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভ। তারই নামকে চিরভাস্বর করে রাখতে ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ইউরোপীয় সংসদ বাৎসরিক ভিত্তিতে শাখারভ পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দেয়। মূলত মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং মুক্তচিন্তাকে প্রস্ফুটিত করতে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংগ্রাম করে, তাদের সম্মানিত করতে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

পরবর্তীতে, ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর থেকে মানবাধিকার ও মুক্তচিন্তার মৌলিক বিকাশে অবদানের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত ব্যক্তি কিংবা সংগঠনকে এ পুরস্কার দিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর পোশাক বিধি লঙ্ঘনের জেরে নৈতিকতা পুলিশের হাতে আটক হন ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনি। সঠিক নিয়মে হিজাব না পরায় তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে পুলিশি হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান।

/এমএইচ /এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply