‘নাইটস অফ দ্য জ্যাক’, যেখানে প্রদর্শিত হয় খোদাই করা কুমড়ো

|

দর্শক উপভোগ করছে 'জ্যাকের লণ্ঠন'। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে বসেছে মজার এক আসর। ‘নাইটস অফ দ্য জ্যাক’ নামের এ আয়োজনে প্রদর্শন করা হচ্ছে বিচিত্র সব মিষ্টি কুমড়ো। ছুরি-চাকুর কারসাজিতে যাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা কিছু। খবর রয়টার্সের।

মৃতদের স্মরণের উৎসব ‘হ্যালোইন’ উপলক্ষে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় এ আসর। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিল্পীরা প্রদর্শন করেন নিজেদের খোদাই করা কুমড়ো। এবছরও কুমড়ো কেটে তারা তৈরি করেছেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের ডাইনোসর থেকে শুরু করে ডিজনি প্রিন্সেস, হলিউডের চিত্রশিল্পী, ভূত-পিশাচ সবকিছুই।

প্রদর্শনী দেখতে আসা একজন দর্শক বলেন, প্রত্যেকটি কুমড়ো একেকটি আলাদা শিল্প। প্রতিটিই খুবই সৃজনশীল। এমন এমন জিনিস শিল্পীরা কুমড়োগুলোতে খোদাই করেছেন, যা আপনি ভাবতেও পারবেন না। কুমড়ো কেটে কেটে এই শিল্পীরা যেসব শিল্পকর্ম তৈরি করেছেন, তা সত্যিই দুর্দান্ত।

কুমড়ো দিয়ে বানানো এই শিল্পকর্ম গুলো ‘জ্যাকের লণ্ঠন’ নামে পরিচিত। কথিত আছে, অনেক বছর আগে জ্যাক নামে এক আইরিশ ব্যক্তি শালগম খোদাই করে ফুটিয়ে তুলতেন নানা চিত্র। ভেতরে জ্বলন্ত কয়লা দিয়ে বানাতেন লন্ঠন। আর এ লন্ঠন যেখানে থাকতো, তার আশেপাশে ঘিরতে পারতো না শয়তান। এমন বিশ্বাস থেকেই জ্যাকের লন্ঠন হয়ে ওঠে অশুভ শক্তি দূরীকরণের প্রতীক। পরে সহজলভ্য হওয়ায় এ লণ্ঠন তৈরিতে ব্যবহার করা শুরু হয় কুমড়ো।

প্রতিবছর হ্যালোইনের সময়টাতে এসব লণ্ঠন দেখতে অপেক্ষায় থাকেন দর্শনার্থীরা। তাই শিশু থেকে সব বয়সের মানুষের কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয় এ আয়োজন। এক দর্শনার্থী বলেন, আমি মুখিয়ে থাকি জ্যাকের লণ্ঠন দেখার জন্য। শৈল্পিকতা, সৃজনশীলতা মিলিয়ে এটি সত্যিই উপভোগ করার মতো একটি আয়োজন। আর সব থেকে বেশি যেটি ভালো লাগে, তা হলো– এটি সবার জন্য উপযুক্ত। বাচ্চারা মজা পায়, বড়রাও মজা পায়। খুবই ভালো একটি আয়োজন এটি।

এবছর কমপক্ষে ৫ হাজার কুমড়োর লণ্ঠন প্রদর্শন করা হচ্ছে এ আয়োজনে। অন্তত ১ মাইল লম্বা পথজুড়ে সারি সারি সাজানো হয়েছে কুমড়োগুলো। পায়ে হেঁটে যা দেখতে সময় লাগে প্রায় ২৫ মিনিট। বিশেষ এ প্রদর্শনী চলবে আগামী পহেলা নভেম্বর পর্যন্ত।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply