গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধে নতুন মোড়, মিসরের সাথে বাড়লো যুদ্ধের শঙ্কা

|

এবার সিনাই উপদ্বীপ নিয়ে তুঙ্গে ইসরায়েল-মিসর উত্তেজনা। গাজায় অভিযান চলাকালে ফিলিস্তিনের ২৩ লাখ বেসামরিককে মিসরের ঐ ভূখণ্ডে সরিয়ে নিতে যুদ্ধকালীন পরিকল্পনা করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। গাজাকে জনশূন্য করতেই এই কূটকৌশল বলে মনে করা হচ্ছে, যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ কায়রো। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজার লাখো বাসিন্দাকে মিসরের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে তেলআবিব। সিনাই’কে রক্ষার জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত বলেও কঠোর বার্তা দিয়েছে সিসি প্রশাসন। খবর আল জাজিরার।

গাজায় সংঘাতের তিন সপ্তাহ ধরে হামাসকে নির্মূলের নামে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে হাজার হাজার বেসামরিককে হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই তেলআবিবের এই অপকৌশল নিয়ে নতুন করে মিসরের সাথে যুদ্ধের উস্কানি ছড়ালো।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে গাজাবাসীকে সিনাইয়ের উত্তরাঞ্চলে সরিয়ে নেবে তেলআবিব। পরবর্তীতে তাদের কোনো এক স্থায়ী শহরে নেয়া হবে।

এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে সিনাই নিয়ে কায়রোর সাথে বহু বছরের পুরনো বিরোধকে ফের নাড়া দিলো তেলআবিব। সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিকে যেকোনো মূল্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার দৃঢ় বার্তা দিয়েছে সিসি প্রশাসন। তারা বলছে, প্রাণের বিনিময়ে হলেও সিনাইকে রক্ষা করা হবে।

এ নিয়ে মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবোলি, সিনাইয়ের এক এক কণা বালুর জন্যও মিসরীয়রা লাখো প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তারপরও কাউকে আমাদের ভূখণ্ডের কাছে ঘেঁষতে দেবো না। মিসরের ওপর কিছু চাপিয়ে দিয়ে আঞ্চলিক সমস্যা সমাধান করতে দেয়া হবে না।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন এই প্রস্তাবের ঘোর বিরোধিতা করছে ফিলিস্তিনি প্রশাসনও। একে নতুন যুদ্ধের সাথেই তুলনা করছে তারা। ফিলিস্তিনের উপ-প্রধানমন্ত্রী নাবিল আবু রেদিনেহ বলেন, গাজার বাসিন্দাদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার ঘোর বিরোধী আমরা। কোনোভাবেই ফিলিস্তিনিদের নিয়ে রেড লাইন পার করতে দেবো না ইসরায়েলকে। ১৯৪৮ সালে যা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি এবার ঘটতে দেয়া হবে না।

যুদ্ধকালীন এই প্রস্তাবকে গাজার বেসামরিকদের হটিয়ে নেতানিয়াহু প্রশাসনের অঞ্চলটির পূর্ণাঙ্গ দখল নেয়ার প্রয়াশ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply