চট্টগ্রাম ব্যুরো:
টানা হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে। মৌসুমের শুরুতেই রাজনৈতিক অস্থিরতা আর মন্দাভাবে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। বাতিল হয়েছে প্রায় সব হোটেল-মোটেলের বুকিং। পর্যটকের অভাবে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলও বন্ধের উপক্রম। অথচ, কয়েকদিন আগেও অগনিত পর্যটকে মূখর ছিল কক্সবাজার, তবে ৩ দিন অবরোধের পর পাল্টেছে সে চিত্র।
সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে পর্যটকের ভিড় নেই। অবরোধের কথা না জেনে চলে আসা পর্যটকদের অনেকে আটকা পড়েছেন অবরোধে। বাসের টিকেট বাতিল করে বিমানে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।
সমুদ্র পাড়ে এক জেট স্কি ব্যবসায়ী জানালেন, তাদের আয় কমে গেছে। আগে যেখানে ১৮-২০ হাজার আয় হতো সেখানে ৭-৮ হাজার হচ্ছে এখন। দোকানদাররাও আয় কমার কথা বলছেন।
কদিন আগে ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষতি পোষানোর আগেই টানা অবরোধ চলছে। সে কারণে কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল-রিসোর্টের বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে ভরা মৌসুমে পর্যটন শিল্পে ধস নামবে বলে শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
বিচ হলিডে গেস্ট হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বেশিরভাগ আগাম বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। এসব বুকিংয়ের মধ্যে যারা ফ্যামিলি নিয়ে আসার কথা ছিল, সবাই বুকিং বাতিল করেছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, এভাবে চলতে থাকলে কোটি কোটি টাকা লোকসান হবে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চারটি জাহাজ চলাচল শুরু হলেও পর্যটকের অভাবে তাও বন্ধের উপক্রম।
/এমএন
Leave a reply