তৃতীয় দফায় সাগরে তেজস্ক্রিয় পানি ফেলায় ফের বিতর্ক জাপানে

|

আবারও আলোচনায় জাপানের ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি। তৃতীয় দফায় সাগরে এ পানি অবমুক্তের পর নেটিজেনদের মধ্যে চলছে জোর বিতর্ক। কেউ কেউ সমালোচনা করছেন সরকারের। বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারতো কর্তৃপক্ষ। কেউবা আবার একদমই চিন্তিত নন। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, শোধন করেই সাগরে ফেলা হচ্ছে পানিগুলো। স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই বললেই চলে। খবর এপির।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তৃতীয় দফায় প্রশান্ত মহাসাগরে তেজস্ক্রিয় পানি ছেড়েছে জাপান।

পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি তর্কে সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। সমালোচনার মুখে পড়েছে জাপান সরকার আর টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি।

তবে সাগরের পানিতে ফুকুশিমার পানি ফেলা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন- এমন মানুষও কম নয়। চীন, জাপানের সামুদ্রিক মাছ নিষিদ্ধ করার পরও কোনো দ্বিধা ছাড়াই সামুদ্রিক মাছ খাচ্ছেন তারা। মৎস্য ব্যবসায়ীরাও শঙ্কায় ছিলেন। তবে তারা বলছেন, তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ফেলায় তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

জাপান সরকারও বলছে, পানি যতোটা শোধন করা হয়েছে- তাতে তেমন কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে না। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাও জাপানের পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে।

২০১১ সালের ভূমিকম্প ও সুনামিতে ফুকুশিমা কেন্দ্রটি ধ্বংস হওয়ার পর ১৩ লাখ ৪০ হাজার টন তেজস্ক্রিয় পানি সঞ্চয় করে রেখেছিল জাপান। এই পানিই সাগরে ফেলতে শুরু করেছে দেশটি। চলবে আগামী ৩০ বছর।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply