ইসরায়েলকে ঢালাও সমর্থন দিয়ে নিজ দলেই চাপের মুখে বাইডেন। গাজায় তেল আবিবের লাগাতার আগ্রাসনের কারণে ক্ষোভ বাড়ছে ডেমোক্রেট আইনপ্রনেতারদের একাংশের মাঝে। জ্বালানি, ওষুধসহ গাজায় জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন অনেক রাজনীতিবিদ। কেউ কেউ যুদ্ধবিরতির পক্ষেও অবস্থান নিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। মুসলিমরা তো প্রতিবাদ জানাচ্ছেই, খ্রিস্টান এমনকি ইহুদিদের অনেকেই এখন অবস্থান নিয়েছে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।
গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ঢালাওভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন সরকার। দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলছে, সাধারণ জনগণ ছাড়াও রাজনীতিবিদদের অনেকেই এখন বাইডেন প্রশাসনের কট্টর ইসরায়েলপন্থী অবস্থানের বিরোধিতা করছেন।
গাজায় আগ্রাসন বন্ধে আরব দেশগুলো এতদিন যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছিল। ধীরে ধীরে সে তালিকায় যোগ হচ্ছে পশ্চিমা কিছুদেশও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান অনেক নেতাও এখন জানাচ্ছেন অস্ত্রিবরিতির দাবি। গাজায় জ্বালানি, পানি ও খাবারসহ মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে খোদ নিজ দল থেকেই বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়া করতেজের মতো কেউ কেউ আবার তুলছেন দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের দাবিও। লাগাতার নৃশংসতায় সিনেটরদের মধ্যেও কমছে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে বাইডেনের একপাক্ষিক সমর্থনের প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচনেও। শঙ্কা, মুসলিম ভোটার হারাতে পারে ডেমোক্রেটরা। বলা হচ্ছে, নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় কৌশলী হবে আইনপ্রনেতারাও। আর তাই ইসরায়েলেকে সহায়তায় হোয়াইট হাউজের যেকোনো বাজেট আটকে যেতে পারে কংগ্রেসে।
অবশ্য নানামুখী এই চাপের প্রভাব এরইমধ্যে মার্কিন সরকারের ওপর পড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে প্রথমবার যুদ্ধে মানবিক বিরতির পক্ষে মত দিয়েছেন জো বাইডেন। একই সুরে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনও। যদিও জিম্মিদের মুক্তির আগে কোনো প্রকার অস্ত্রবিরতির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এটিএম/
Leave a reply