নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সময়ে সেনা মোতায়েন ও খালেদা জিয়ার আইনগত অধিকার নিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবি মানা না হলে ১ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী সভা-সমাবেশের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা এসেছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশ থেকে।
দফায় দফায় বৈঠক প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য আলোচনার পর বড় ধরনের নাগরিক সমাবেশ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার। আর, এতে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় বিএনপি।
সমাবেশে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোটের শরীক, হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন নেতাও ছিলেন। সংহতি জানায় বাম মোর্চার শরিক গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি ও তেল গ্যাস রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক শেখ শহীদউল্লাহ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও। তবে সমাবেশ স্থল জাতীয় মহানগর নাট্য মঞ্চের ভেতর বাহিরে ছিল বিএনপি নেতা কর্মীদের স্লোগানে মুখর।
এর মাঝেই সমাবেশ শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা পর যোগ দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ডাক্তার এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এর আগে, ঘোষণাপত্র পাঠ করে সমাবেশের উদ্বোধন করেন ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান ডক্টর কামাল হোসেন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন, সেনা মোতায়েনের দাবিসহ সরকারের নানা দুর্নীতি অনিয়ম তুলে ধরেন যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঐক্যের মঞ্চ থেকে খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করা হয়।
গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়া এই সমাবেশের মাধ্যমে একধাপ এগিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। সে অনুযায়ী নূন্যতম কর্মসূচির ভিত্তিতে আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই প্রধান নেতা ডক্টর কামাল ও ডাক্তার বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন আনতেই তাদের ঐক্য বলে জানান। বিএনপির দাবি সাথের ঐক্য রেখে ঘোষণা ৫ দফা দাবির ভিত্তিতে সামনে আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহণ করা বলে ঘোষণা দেন।
গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আন্দোলন চলবে। এর অংশ হিসেবে আগামী ১ অক্টোবর থেকে সারা দেশে নাগরিক সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয় নাগরিক সমাবেশ থেকে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply