ইসরায়েলি আগ্রাসনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে গাজার প্রায় সব হাসপাতাল

|

ইসরায়েলি আগ্রাসনে এবার একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে অবরুদ্ধ গাজার প্রায় সব হাসপাতালগুলো। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট ছিল সেখানে। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামেরও ছিল ঘাটতি। তার ওপর গত কয়েকদিনের তুমুল হামলায় আর সম্ভব হয়নি সামাল দেয়া। বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিতে হয়েছে হাসপাতালগুলো। ভয়ংকর এ পরিস্থিতিতে সামনে কী ঘটবে সেটা জানা নেই কারও।

শুরু থেকেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের লক্ষ্য ছিল হাসপাতালগুলো। একের পর এক হামলায় ধ্বংস হয়েছে গাজার একাধিক হাসপাতাল। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পানি, অক্সিজেনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সরঞ্জাম সরবরাহ। সেই সাথে জিম্মি উদ্ধারের নামে প্রতিনিয়তই চালানো হচ্ছে হামলা।

জ্বালানি ও বিদ্যুতের প্রবল সংকট ও সব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই সংঘাতময় এ অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছিল হাসপাতালগুলো। এবার রুদ্ধ হলো সেটুকুও।

গাজার এক বাসিন্দা অভিযোগের সুরে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের বলেছিল নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে। কিন্তু যারা মারা গেলো তারা তো নিরাপদ আশ্রয়েই ছিল। সেই নিরাপদ আশ্রয়েও তো হামলা চালালো ওরা।

এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে বহু অপরিণত শিশু আর আইসিইউতে থাকা রোগীর। দ্রুত হাসপাতালগুলো পুনরায় খোলা না গেলে অবস্থা আরও শোচনীয় হওয়ার শঙ্কা।

গাজার ওই বাসিন্দা আরও বলেন, ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ এই এক হাসপাতালেই মারা গেছেন। বিদ্যুৎ নেই। আইসিইউতে থাকা রোগী আর ইনকিউবেটরে থাকা শিশুদের কী অবস্থা তা আর বলার প্রয়োজন নেই। সংঘাতময় একটি অঞ্চলে হাসপাতাল ধ্বংস করে ফেলা হল। গোলা-বোমার আঘাতে যারা কোনোমতে বেঁচে গেছিলো তাদের মৃত্যুও নিশ্চিত করা হলো এভাবে।

এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে গাজায় পুরোপুরি বন্ধ ছিলো জ্বালানি সরবরাহ। বারবার আবেদনের পরও জ্বালানিভ ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল। এবার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর, গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিলো তারা। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply