জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আদেশ বহাল

|

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার (১৯ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলো দলটি। রোববার সেই আপিল খারিজ করে দেন আদালত। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ই বহাল থাকছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন।পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ মোট ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।

এ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করে হাইকোর্ট। এতে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুল জারির পর জামায়াতে ইসলামী মোট পাঁচবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।

পরে ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীরা প্রধান বিচারপতির কাছে এ রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠনের আবেদন করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মার্চ আবেদনটি বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। ১০ মার্চ সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন দ্বৈত বেঞ্চ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।

আরএইচ/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply