অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায়২০২৩ সালে ৫ ধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ব্যাসেল অ্যান্টি মানিলন্ডারিং ইনডেক্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ পাঁচটি দেশকে পেছনে ফেলে অবস্থানের উন্নতি ঘটিয়েছে। অর্থপাচার প্রতিরোধে দেশটি ৪১ থেকে ৪৬ নম্বরে অবস্থান করছে। ২০২২ সালেও বাংলাদেশ এই সূচকে আট ধাপ অগ্রগতি লাভ করেছ। সে হিসেবে দুই বছরে বাংলাদেশ ১৩ ধাপ এগিয়েছে। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
সংস্থাটির এই ইনডেক্সে বাংলাদেশের উন্নতির খবর বাংলাদেশ ব্যাংকও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিটি পাঠায়।
ব্যাসেল অ্যান্টি মানিলন্ডারিংয়ের সূচকে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপ দেশ হাইতি। দেশটি অর্থ পাচারে শীর্ষে অবস্থান করেছ। এরপর দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে চাদ, মিয়ানমার ও কঙ্গো।
অন্যদিকে, তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ আইসল্যান্ড। দেশটি ব্যাসেল ইনডেক্সে ১৫২-তে অবস্থান করছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ বছর ধরে পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এই প্রতিবেদন করে আসছে ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্ন্যান্স। এর মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ওপর ৬৫ শতাংশ, ঘুষ ও দুর্নীতির ওপর ১০ শতাংশ, আর্থিক স্বচ্ছতা মানদণ্ডে ১০ শতাংশ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৫ শতাংশ এবং আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকির ওপর ১০ শতাংশ গুরুত্ব দেয়া হয়।
/এমএন
Leave a reply