মহিউদ্দিন মধু:
সাজার বেড়াজালে বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন স্তরের বহু নেতা। নাশকতার ৩০ মামলায় গত দেড় মাসে দণ্ডিত দলটির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির রয়েছেন ১৮ জন। সাজা ঘোষণা করা হয়েছে একাধিক মৃত নেতারও। এখনও ৫০টি মামলা আছে রায়ের পর্যায়ে। এতে নাম আছে কেন্দ্রীয় আরও ১৪ নেতার।
গত ৪৫ দিনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রায় ৮ থেকে ১০ বছরের পুরোনো ও বিচারাধীন ৩০টি মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে দেশের কয়েকটি আদালতে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার নাশকতার মামলায় বিএনপির ৭৫ নেতাকর্মীকে আড়াই বছর করে সাজা দেন আদালত। একইসাথে আরও চার মামলায় সাজা হয় ১০৪ জনের। এ সময় ২০১৮ সালে বংশালে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় সাড়ে ৩ বছর করে সাজা হয় বিএনপির আরও ৬২ নেতাকর্মীর।
নাশকতার পৃথক ৭ মামলায় ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড হয় বিএনপির ১৪০ নেতাকর্মীর। এর মধ্যে ২ বছর করে সাজা হয় দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর।
২০১৩ সালে তেজগাঁও থানার নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবসহ বিএনপির ৭ নেতাকে সাজা দেয়া হয় আড়াই বছরের।
সবমিলিয়ে গত ১৪ কর্মদিবসে সাজা হয়েছে ৫৪৬ জনের। এদের মধ্যে আছে বিএনপির প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব মামলায় অবশ্য খালাসও হয়েছেন ১৫৬ জন।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমানের দাবি, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাত ৮টা ৯টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, যা নজিরবিহীন।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচনের আগে আরও অন্তত ৫০টি মামলার রায় হতে পারে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় নাম আছে- দলটির ভাইস চেয়ারম্যান থেকে কর্মী পর্যন্ত প্রায় হাজার খানের নেতাকর্মীর। পাশাপাশি ঢাকার আদালতে বিচারাধীন আরও প্রায় ৫০০ মামলা।
তবে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলছেন, বিএনপির বক্তব্য মনগড়া। আদালত স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। কে কোন দল করে সেটা দেখার বিষয় না।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি কমপক্ষে দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হলে এবং মুক্তির পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বেশিরভাগই বর্তমানে কারাগারে।
এটিএম/
Leave a reply