ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে জেরুজালেমের পর্যটন এলাকা। ধর্মীয় গুরুত্ব আর সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কারণে প্রতি বছর সেখানে ভ্রমণে যায় লাখলাখ মানুষ। চলমান সংঘাতে একেবারেই খালি হয়ে পড়েছে শহরটি। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন কেন্দ্রিক ছোট-বড় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
প্রতি বছর এই সময় জেরুজালেমে থাকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। ইসরায়েলি আগ্রাসনে শহরটিতে এখন পর্যটকদের উপস্থিতি একেবারেই নেই।
ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে বিশ্বজুড়েই মুসলিম, খ্রীস্টান আর ইহুদীদের কাছে পূণ্যস্থান জেরুজালেম। তাছাড়া সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আর দৃষ্টিন্দন সৌন্দর্যের কারণেও সারা বছরই বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের আনাগোনা থাকে এ শহরে।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তীর্থযাত্রী আর ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ করে এসেছে প্রাচীণ এ শহর। আর তাই ট্যুরিজমকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে ছোটো-বড় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা। তবে ইসরায়েল-হামাসের লড়াইয়ে প্রায় একমাসের বেশি সময় ধরে লোকসান গুণতে হচ্ছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে। দরজায় তালা ঝুলাতে হয়েছে অনেক দোকানীকে।
দেড় মাস আগেও অনেক ভালো বিকি-কিনি ছিলো। ৭ তারিখে হামাসের আক্রমণের পর সব পর্যটক দেশ ছেড়ে গেছে। এই শহর বেঁচেই থাকে পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে। পর্যটক না থাকায় একেবারেই প্রাণহীন হয়ে গেছে শহরটি। কোনো ব্যবসা নেই। করোনার সময়ের মতো অবস্থা হয়েছে আবার।
ট্যুর গাইডরা বলছেন, দেড় মাসে আগেও দিনে দু’শো ডলার আয় করেছেন তারা।পর্যটক না থাকায় এখন অনেকটা বেকার সময় কাটছে তাদের।
প্রতি বছর গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মানুষ শহরটিতে ভ্রমণ করতো। চলমান সংঘাতে যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি না হলে জেরুজালেমের ট্যুরিজম খাত আরও বড় লোকসানের মুখে পড়তে পারে।
এটিএম/
Leave a reply