এবারের জলবায়ু সম্মেলনে দেশের হয়ে জবাব চাইবেন তরুণরা

|

আহমেদ রেজা:

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ২৮তম জলবায়ু সম্মেলন বা কপ-২৮। এবারের ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেবেন বাংলাদেশের তরুণরা। এই জলবায়ু সম্মেলন ঘিরে এক গুচ্ছ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তারা। বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপের পাশাপাশি জলবায়ু সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতিপূরণের হিস্যাও আদায়ের দাবি তাদের। এ নিয়ে শক্ত অবস্থান থেকে কপ-২৮ এ সোচ্চার হবেন তারা।

এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্ব পাবে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বাস্তবায়ন, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ এবং অভিযোজনে অর্থায়নের ইস্যুটি। এই আয়োজনে যোগ দিয়ে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ও অভিযোজনে তহবিলের দাবির পাশাপাশি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা সোচ্চার হবেন উন্নত দেশগুলোর উদাসীনতার বিরুদ্ধেও।

এসব তরুণ প্রতিনিধিরা জানান, এই জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ চাইবে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয় এবং অভিযোজনের জন্য আরও তহবিল যাতে বৃদ্ধি করা হয়। এখন আমরা যে অর্থায়ন পাচ্ছি, তার চেয়ে ১২ থেকে ১৩ গুণ অর্থায়ন আমাদের দরকার।

ক্ষোভ জানিয়ে আরেক তরুণ প্রতিনিধি জানান, প্রায় ২৭-২৮ বছর এই একই বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলছি। তবে এখনও আমরা কোনো ফল পাইনি। তাই কপ-২৮ এ লস অ্যান্ড ড্যামেজের ফান্ড যেন আমরা দ্রুত পাই সে বিষয়ে এবার আমাদের শক্ত অবস্থান থাকবে।

২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ধনী দেশগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলকে ১০০ বিলিয়ন দেয়ার কথা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এই বিষয়ে জোর তাগিদ জানাবেন তরুণরা। তরুণদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে মনে করেন সরকারের নীতি নির্ধারকরাও।

এ নিয়ে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক বলেন, জলবায়ু সংকটের সাথে জড়িয়ে আছে তরুণদের ভবিষ্যৎ। তাই তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত না করে কোনো একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছালে মোটেই ভালো কিছু হবে না। এখন এ বিষয়ে তরুণদের অংশগ্রহণের বিষয়ে জাতিসংঘও বেশ জোর দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মেকাবিলায় কতটুকু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়ে ধনী রাষ্ট্রগুলো কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তার জবাবদিহিতাও চাইবেন তরুণরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply